• ‘মেয়েরা পিছিয়ে নেই…’, ITI-তে প্রথম হয়েও উচ্চশিক্ষা নিয়ে চিন্তায় পারভিন
    এই সময় | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষায় ‘মেকানিক ডিজ়েল ট্রেড’-এ মোট ৬০০ নম্বরের মধ্যে ৫৯৯ পেয়েছেন ক্যানিংয়ের তালদির বাসিন্দা পারভিন সুলতানা। দেশের মধ্যে আইটিআই পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তিনি। উচ্চশিক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছেন পারভিন। চিন্তা একটাই! অনটনের পরিবারে পড়াশোনার জন্য অর্থ আসবে কোথা থেকে? পারভিনের কথায়, ‘বাবার রোজগার খুবই সামান্য। এখন একটা চাকরি যদি পাই, তা হলে নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই চালাতে পারব।’

    পারভিনের বাবা তাজিউর রহমান সর্দার তালদি মাছের আড়তে দিনমজুরির কাজ করেন। যেটুকু রোজগার হয়, তা দিয়ে কোনওরকমে সংসার চলে। পারভিনের মা রিজিয়া বিবি বলেন, ‘মেয়ে এত ভাল ফল করেছে বলে পরিবারের সকলেই খুশি। ও আরও পড়তে চায়। কিন্তু অনেক টাকার দরকার সে জন্য।’ মেয়েকে আরও পড়াশোনা করানোর সাধ থাকলেও সাধ্য নেই পরিবারের।

    সামান্য কিছু কাজ করে নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করেন পারভিন। অনলাইনে আইটিআই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। পাশাপাশি কলেজের শিক্ষকদের সহায়তায় এই ফলাফল করাটা সম্ভব হয়েছে। পারভিন বলেন, ‘আমার কোনও গৃহশিক্ষক ছিলেন না। কলেজের শিক্ষকরা আমাকে খুবই সাহায্য করেছেন। সেই জন্যেই এই ফলাফল। তবে আরও পড়াশোনা করতে চাই। মেয়েরাও যে আজকে পিছিয়ে নেই, সেটা করে দেখতে চাই।’

    সম্প্রতি দিল্লি থেকে শংসাপত্র পেয়েছেন পারভিন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। তালদি মৎস্য আড়তের সম্পাদক অমলকৃষ্ণ নস্কর পারভিনকে সংবর্ধনা দিয়েছেন বাড়ি গিয়ে। তিনি বলেন, ‘ও আমাদের এলাকার গর্ব। ওকে যতটা পারা যায় সাহায্য করব।’

  • Link to this news (এই সময়)