• যোগেশচন্দ্রে ব্রাত্য যেতেই বিক্ষোভ, ছাত্রীরা বলছেন,'রেপ থ্রেট দিচ্ছে'
    আজ তক | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • যোগেশচন্দ্র আইন কলেজে সরস্বতী পুজো দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু। তাঁর সামনেই স্লোগান ওঠে,'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'। ছাত্রীদের অভিযোগ, কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা ঢুকছে। তাঁদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তাঁরা। পড়ুয়াদের ৪ জনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ব্রাত্য।   

    হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশি নিরাপত্তা সরস্বতী পুজো চলছে যোগেশচন্দ্র আইন কলেজে। ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা যাতে প্রবেশ করতে না পারে তা দেখার দায়িত্ব পুলিশের। অথচ ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, সকাল থেকে বহিরাগতরা ঢুকে চলেছে। হাইকোর্টের নির্দেশ মানা হচ্ছে না। এরপর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু পুজো দেখতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পড়ুয়ারা। ছাত্রীদের অভিযোগ, দিনের পর দিন ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁদের।  

    যোগেশচন্দ্র আইন কলেজ এবং যোগশচন্দ্র ডে কলেজের ক্লাস চলে একই ক্যাম্পাসে। আইন কলেজের পড়ুয়াদের অভিযোগ, ডে কলেজের প্রাক্তন পড়ুয়ারা এসে হুমকি দেয় তাঁদের। এমনকি ছাত্রীদের ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। কলেজে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে বহিরাগতদের দাপাদাপি। কলেজ ক্যাম্পাসে সরস্বতীপুজো করতেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের অভিযোগ, পুজোর জায়গা দখল করেছে ডে কলেজ। ডে কলেজের তরফে দাবি করা হয়, পুজোর জায়গায় অস্থায়ী নির্মাণ তৈরি করেছেন বহিরাগতরা। তাঁদের কলেজে প্রবেশের উপর আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।  

    আইন কলেজের বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের অভিযোগ, তৃণমূল মহম্মদ সাবির আলি ও তাঁর দলবলের দাপটে কলেজে টেকা দায় হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন কুকর্ম জড়িত তারা। ছাত্রীদের ধর্ষণের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের এক প্রতিনিধি জানান,'সাব্বির আলি ও তাঁর দলবলকে আটকাতে হবে। না হলে ছাত্রছাত্রীরা নিরাপদ বোধ করছেন না। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলেজের অস্তিত্ব রক্ষার লড়়াই। শিক্ষাঙ্গনে অসামাজিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে'। 
     
  • Link to this news (আজ তক)