• বর্গীর ভয়ে ওঁরা চলে আসেন হুগলি, পরে হাওড়ায়; জানুন রাজ্যের অন্যতম প্রাচীন সরস্বতীপুজোর ইতিহাস...
    ২৪ ঘন্টা | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • দেবব্রত ঘোষ: দেশের প্রাচীনতম সরস্বতী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম মধ্য হাওড়ার সরস্বতী মন্দির। পঞ্চাননতলা রোড-সংলগ্ন এক নম্বর উমেশচন্দ্র দাস লেনের ছোট্ট গলির মধ্যে এই মন্দির প্ৰতিষ্ঠা হয় ১০২ বছর আগে। ১৯২৩ সালের ২৮ জুন প্রতিষ্ঠিত হয় ওই মন্দির। এখানে ১১০টি মাটির খুরিতে বিশেষ ধরনের বড় বাতাসা, গুজিয়া এবং ফল দিয়ে শ্বেত পাথরের সরস্বতী প্রতিমাকে পুজো দেওয়াই রীতি।

    জানা যায়, জনৈক উমেশচন্দ্র দাস এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ওঁর ছেলে রণেশচন্দ্র দাস রাজস্থানের জয়পুর থেকে শ্বেত পাথরের সরস্বতী মূর্তি এনে বাড়িতে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। উমেশচন্দ্রের আদি বাড়ি ছিল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে। 

    বারবার বর্গী হানার আশঙ্কায় সপরিবারে সেখান থেকে হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় চলে আসেন তাঁরা। ১৮৫৬ থেকে ১৮৮৭ পর্যন্ত তিনি হাওড়া জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। সেই সূত্রেই হাওড়ার পঞ্চাননতলা রোডের ওই বাড়িতে তাঁর বসবাস শুরু। পরে তাঁর নামানুসারে পঞ্চাননতলা রোডের বঙ্কিম পার্ক-সংলগ্ন রাস্তার নাম রাখা হয়েছে।

    বর্তমানে তাঁর বংশধর সোমেশচন্দ্র দাস বলেন, 'শিক্ষকতার জন্য উমেশবাবু সরস্বতীর ভক্ত ছিলেন। তাঁর ছেলে রাজস্থান থেকে শ্বেত পাথরের মূর্তি তৈরি করিয়ে আনেন। চার ফুট লম্বা শ্বেতপাথরের প্রতিমা হাঁসের উপরে দাঁড়িয়ে। বাঁ হাতে ধরা বীণা। সরস্বতী পুজোর দিন বাসন্তী রঙের শাড়িতে নতুন করে সাজানো হয় প্রতিমা। বছরভর মন্দিরে পুজো হলেও সরস্বতী পুজোর দিন থাকে বিশেষ আয়োজন। আগের দিন থেকে মন্দিরকে ফুল, মালা, আলোয় সাজানো হয়। বহু মানুষ মন্দিরে পুজো দিতে হাজির হন। পুস্পাঞ্জলি দেন।'

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)