• ৬ বছর পর সুবিচার, রানাঘাটে বৃদ্ধার গণধর্ষণ ও খুনে ২ আসামির যাবজ্জীবন
    প্রতিদিন | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ৬ বছর পর মিলল সুবিচার। বৃদ্ধাকে গণধর্ষণ করে খুনের দায়ে ২ দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল রানাঘাট আদালত। ওই আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ সৌমেন গুপ্ত দুজনকেই দোষী সাব্যস্ত করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। এছাড়া ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    ঘটনা ২০১৮ সালের ১৮ মে। রানাঘাট থানা এলাকায় রেললাইন সংলগ্ন পাড়ায় বছর পঁয়ষট্টির ওই বৃদ্ধা থাকতেন। বৃদ্ধার মেয়ের শ্বশুরবাড়ি কিছুটা দূরেই। ঘটনার দিন সকালে ওই বৃদ্ধার মেয়ে বাড়িতে আসেন। ঘরের দরজা খোলা। অথচ মায়ের সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় তাঁর। মেঝেতে অচৈতন্য অবস্থায় বৃদ্ধা মাকে পড়ে থাকতে দেখেন। সেই সময় বৃদ্ধা অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছিলেন। সারা শরীরে ক্ষতচিহ্ন। রক্তারক্তি কাণ্ড। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানান।

    ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যায় ওই বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। রানাঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার মেয়ে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে শুভঙ্কর শিকদার এবং তনু সরকার নামে দুই যুবক যুক্ত। কারণ, বৃদ্ধার মেয়ে পুলিশকে জানান ঘটনার দিন সকালে মায়ের ঘর থেকে কিছুটা অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় শুভঙ্কর এবং তনুকে বেরতে দেখেছেন তিনি। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, শুভঙ্কর এবং তনু দুজনেই ধর্ষণ করে খুনের পর মুম্বই পালিয়ে যায়। সেখান থেকে তারা নেপালে পালানোর ছক কষেছিল। অপরাধীদের এক পরিচিতের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ তড়িঘড়ি মুম্বইয়ে হানা দেয়। সেখানে গিয়ে পুলিশ দুজনকে পাকড়াও করে। একাধিক সাক্ষীর সাক্ষ্যর ভিত্তিতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু হয়। শুক্রবার বিচারক সৌমেন গুপ্ত তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন। শনিবার তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)