সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাই কোর্টের নির্দেশে পুলিশি নিরাপত্তায় সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে। দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও সাংসদ মালা রায় সেখানে পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ডে কলেজের পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, চক্রান্ত করে তাঁদের ক্যাম্পাসে পুজো করতে দেওয়া হয়নি। এখানেই শেষ নয়, দিনের পর দিন তাঁদের নানারকম হুমকি দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। অশান্তির মাঝেই বিক্ষুদ্ধ পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বললেন ব্রাত্য বসু।
আদালতের নির্দেশ মেনে যোগশচন্দ্র কলেজের ভিতরে চলছে আইন বিভাগের পুজো। কলেজের বাইরে মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনী। পরিচয় পত্র দেখে তবে পড়ুয়াদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার দুপুরে সেখানে যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও সাংসদ মালা রায়। তাঁদের দেখেই ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান তোলেন আইনের ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের দাবি, কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। তুমুল হট্টগোলের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এক পর্যায়ে ব্রাত্য বসু নিজে এসে বিক্ষুদ্ধদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর চারজনকে ডেকে নিয়ে যান অধ্যক্ষের ঘরে। সেখানে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে কলেজ ছাড়েন ব্রাত্য। মালা রায়ের একটাই বক্তব্য, পড়ুয়ারা যেন রাজনীতিতে জড়িয়ে না পড়ে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর যোগেশচন্দ্র ডে কলেজ ও যোগেশচন্দ্র ল কলেজের পড়ুয়ারা দুটি আলাদা জায়গায় পৃথকভাবে সরস্বতী পুজো করেন। এবছর পুরনো ভবন থেকে নতুন ভবনে যাওয়ার রাস্তায় এমনভাবে একটি প্যান্ডেল বানানো হয়েছে, যাতে ল কলেজের পড়ুয়ারা ক্লাসে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ। ওই পুজোয় সম্প্রতি বহিরাগতরা বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। উচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, পুলিশের নজরদারিতে হবে সরস্বতী পুজো।