ঠিক একমাস আগে ২ জানুয়ারি পথচলা শুরু। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে মানুষের দুয়ারে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরু হয়েছিল ‘সেবাশ্রয়’ শিবির। একমাসেই প্রায় ৫.৫ লক্ষ মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন। জটিল স্নায়ুরোগের চিকিৎসা থেকে চোখের ছানি বা হার্ট অপারেশনের সুবিধা পাচ্ছেন বাসিন্দারা। সাংসদ বললেন, ‘স্বাস্থ্য পরিষেবা নাগালের বাইরে থাকায় মানুষ নীরবে ভুগে যাবে, এই ধারণা ক্রমাগত ভুল প্রমাণ করছে সেবাশ্রয়।’
ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা পেরিয়ে ফলতা হয়ে বর্তমানে মেটিয়াবুরুজের বিভিন্ন এলাকায় চলছে ‘সেবাশ্রয়’। রবিবারও মোট ৩৪টি শিবির থেকে ৮,৮৩২ জন মানুষ বিনামূল্যে পরিষেবা পেয়েছেন। অভিষেক বলেন, ‘স্বাস্থ্য পরিষেবা কোনও নীতি নির্ধারণ বা নির্বাচনী সময়ের অপেক্ষায় থেমে থাকতে পারে না। সেবার জন্য সক্রিয়তা, দায়বদ্ধতা এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেই কাজটাই করে যাচ্ছে সেবাশ্রয়।’
এই এক মাসে রুটিন চেকআপের পাশাপাশি জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরাও সাহায্য পেয়েছেন ‘সেবাশ্রয়’ শিবিরগুলি থেকে। ন’বছরের আলতাফের যেমন হার্টের অপারেশন হয়েছে, তেমনই স্নায়ুরোগে আক্রান্ত নেহা মাজি-র জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরুর NIMHANS-এ এক নিউরোলজিস্টের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই সময়ে পর্যন্ত তিনি সেবাশ্রয়ের মাধ্যমে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি পাচ্ছেন। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত মামুদা বিবি মোল্লাকে প্রতি মাসে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে ‘সেবাশ্রয়’ থেকে। অন্যদিকে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত সাথী নস্করের চিকিৎসার জন্য ভেলোরে সিএমসি-তে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিতে সাংসদের এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই সমাদৃত হয়েছে বিভিন্ন মহলে। আরও চারটি বিধানসভায় ‘সেবাশ্রয়’ শিবির আয়োজন বাকি। আগামী দিনে এই ‘সেবাশ্রয়’ কর্মসূচি বিভিন্ন জায়গায় উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হবে বলেও মনে করছেন সাংসদ।