• সরস্বতী পুজোয় পড়ানো হল পরিবেশ সচেতনতার পাঠ, অভিনব উদ্যোগ রাজ্যের এই স্কুলে...
    আজকাল | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • মিল্টন সেন: সরস্বতী পুজোয় পড়াশোনা করতে নেই। বইপত্র সাজিয়ে রাখা থাকবে ঠাকুরের পাশে। গ্রামগঞ্জে আজও প্রচলিত প্রাচীন এই প্রথা। যদিও অনেকেই এখন আর এই প্রথায় বিশ্বাস করতে চান না। তবুও পুজোর আনন্দ, ঘোরাফেরার মধ্যে একদিন পড়াশোনায় ফাঁকি দিলে ক্ষতি কী। সে কারণেই সরস্বতী ঠাকুরের সামনে বই জমা দিয়ে একদিনের নিস্তার। কিন্তু বিদ্যালয় চাইছে, পাঠ্যবই না পড়লেও পরিবেশ সচেতনতার পাঠ নিক পড়ুয়ারা। পড়াশোনার পাশাপাশি তরুণ প্রজন্ম যত্ন নিক পরিবেশের। তাই বাগদেবীর আরাধনার পাশাপাশি স্কুলে আয়োজন করা হল এক অন্য রকম বইমেলার। এই মেলায় ছিল পরিবেশ সচেতনতা বা পরিবেশ বিষয়ক বইয়ের সম্ভার। একইসঙ্গে বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে উদ্বোধন হল পরিবেশ কর্ণারের। 

    সরস্বতী পুজো উপলক্ষে এমনই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে চুঁচুড়া বালিকা বানী মন্দির স্কুল। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ধৃতি ব্যানার্জি নিজেও একজন পরিবেশ কর্মী। পরিবেশ সচেতনতায় কাজ করছেন তিনি। রবিবার সকালে স্কুলের লাইব্রেরিতে পরিবেশ কর্ণারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পরিবেশবিদ বিশ্বজিৎ মুখার্জি। উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি গৌরীকান্ত মুখার্জি প্রমুখ। এদিন প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, ‘বিশ্বজিৎ বাবু আপাতত তাঁদের স্কুলকে ২৩ টি পরিবেশ বিষয়ক বই দিয়েছেন। সেগুলো ছাত্রীরা পড়তে পারবে। ভবিষ্যতে পরিবেশ সংক্রান্ত আরও অনেক বই রাখা হবে কর্ণারে’।

    সরস্বতী পুজোর দিন এই উদ্যোগ নেওয়ার উদ্দেশ্য একটাই, স্কুলের ছাত্রীরা ছাড়া প্রাক্তনীরাও এদিন স্কুলে আসে। পাশাপাশি, শহরের বইপ্রেমীরাও স্কুলে এসে এই পরিবেশ কর্ণার ঘুরে যেতে পারবেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, পৃথিবীর গভীরতর অসুখ হল ক্রমাগত ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাওয়া পরিবেশ। সেই অসুখ থেকে মুক্তি পেতে হবে। তাই বর্তমান সময়ে এই ভাবনা সকলের মধ্যেই থাকা উচিত। এই সচেতনতা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলে, তবেই আগামী প্রজন্ম একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে। স্কুলের তরফে এমন উদ্যোগে খুশি স্কুলের ছাত্রী থেকে অভিভাবক সকলেই।

    ছবি: পার্থ রাহা
  • Link to this news (আজকাল)