ভবানন্দ সিংহ: দু'দিন ধরে ভারত ভুখন্ডে গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর পুলিসের হাতে গ্রেফতার এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী যুবক। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মহঃ সাহাজাহান আলি, বয়স ৩৫ বছর। বাড়ি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানার কাঠালডাঙ্গি হঠাৎপাড়া এলাকায়।
আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, ওই যুবক কিভাবে বিএসএফের নজর এড়িয়ে ভারত ভুখন্ডে প্রবেশ করল? এতদিন ধরে এপার বাংলায় গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও তার বিষয়ে কোনো তথ্য বা খবর কেনো ছিল না পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে?
অন্যদিকে রবিবার ধৃতকে রায়গঞ্জ মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেশ করা হলে তাকে দুদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এদিন পুলিসি হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার সময় নির্বিকার সদা হাস্যমুখে গোপনে কাটাতার পেরিয়ে এপাড়ে আসার কথা স্বীকার করে নেয় ওই যুবক। পাশাপাশি কাজের উদ্দ্যেশ্যেই তার এপারে আসা বলে দাবি তার।
পুলিসের তদন্তকারী আধিকারিকদের একাংশের প্রশ্ন -
যদি সে দিল্লিতে কাজের উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতে এসে থাকে তাহলে এতদিন ধরে হেমতাবাদে কী করছিল?
ভারত ভুখন্ডে তার আশ্রয়দাতা কে বা কারা?
তবে কি তার কোনও নাশকতার ছক ছিল? না হলে এতটা নির্বিকার হয়ে কিভাবে সে জবাব দেয়?
ওই যুবক কি একাই এসেছিল? নাকি তার আরো সঙ্গীসাথীরা এসেছিল? নাকি আরো একদল সঙ্গীসাথীরা এলে তারপর শুরু হত তাদের অপারেশন?
পুলিস সুত্রে খবর, পুলিসের তদন্তকারী আধিকারিকদের মধ্যেই এই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে গোয়ালপোখরে পুলিসকে গুলিকান্ডে বাংলাদেশি নাগরিক আব্দুল ওরফে আবালের নাম জড়ানোর পরও যখন উত্তর দিনাজপুরের দুই পুলিস জেলায় বাড়তি সতর্কতার কথা ঘোষণা করেছিলো পুলিশ, তারপরও কিভাবে একজন বাংলাদেশি যুবক কয়েকদিন ধরে ভারত ভুখন্ডে গা ঢাকা দিয়ে রইল? কি করছিল পুলিস বা রাজ্যের গোয়েন্দা দফতর? কিভাবে নজর এড়িয়ে গেল বিএসএফের? প্রশ্ন অনেক, কিন্তু পুলিসের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।