সংবাদদাতা, বোলপুর: ৩৫ফুটের সরস্বতী প্রতিমা বানিয়ে চমক দিল লাভপুরের পলসা নয়া যুব সঙ্ঘ। প্রত্যন্ত এই অঞ্চলে কয়েক বছর আগেও অত্যন্ত সাধারণভাবে সরস্বতী পুজো হতো। এরপর পলসা নয়া যুব সঙ্ঘের নতুন প্রজন্ম এলাকায় বড় আকারে বাগ্দেবীর আরাধনা শুরু করেন। তবে এইবারই প্রথম এত বড় আকারে প্রতিমা তৈরি করে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছে এই ক্লাব। রবিবার সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুজোর উদ্বোধন হয়। উপস্থিত ছিলেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ। প্রধান অতিথি ছিলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ তিন কৃতী সহ স্থানীয় হরিনাম সংকীর্তন দলের সদস্যদের সংবর্ধনা জানায় এই ক্লাব। পাশাপাশি এলাকায় ফুটবলের প্রচার ও প্রসারে স্থানীয় তিন আদিবাসী ক্লাবকে ফুটবল সহ অন্যান্য খেলার সামগ্রী উপহার হিসেবে তুলে দেন। পাঁচদিন ধরে নানান সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে বলে জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। লাভপুর বিধানসভার বিপ্রটিকুরি পঞ্চায়েতের পলসা গ্রামে যুব সঙ্ঘের পুজো এবছর ৫৫বছরে পা দিল। এবার জেলার সবচেয়ে বড় সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করে সকলের নজর কেড়েছে তারা। ক্লাবের সভাপতি লালু মণ্ডল বলেন, পুজো উপলক্ষ্যে পাঁচদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক ও যাত্রাপালা আয়োজন করা হয়েছে। তবে অনুষ্ঠানে বাইরের কোনও শিল্পীদের দিয়ে নয় বরং স্থানীয় ছাত্রছাত্রী, এলাকাবাসী ও ক্লাবের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি স্থানীয় খয়েরবুনি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক উত্তীর্ণ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী কৃতীকে সংবর্ধনা জানান স্থানীয় বিধায়ক। এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা শেখ ইসমাইল ওরফে শেখ মিঠু বলেন পলসা গ্রামে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। তবে পুজো উপলক্ষ্যে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে ওঠে এলাকায়। এলাকাবাসীর মনোরঞ্জনের পাশাপাশি কচিকাঁচাদের জন্য আবৃত্তি, হাড়িভাঙা, ছবি আঁকা, শঙ্খ ও উলুধ্বনি, মোমবাতি জ্বালানো প্রতিযোগিতা প্রভৃতি আয়োজন করা হয়েছে। শেষ দিনে সেরাদের পুরস্কৃত করা হবে। বিধায়ক অভিজিৎবাবু বলেন, পলসার মতো প্রত্যন্ত গ্রামে এই ধরনের বিশাল উদ্যোগ দেখে আমি অভিভূত। রাজ্যে দ্বিতীয় উচ্চতম এই মূর্তি গ্রামের শিল্পীই বানিয়েছেন, এটা আমাদের কাছের গর্বের ব্যাপার। - নিজস্ব চিত্র