সংবাদদাতা, কাটোয়া: মণ্ডপজুড়ে শুধু প্রেতাত্মা, অশরীরী দাপাদাপি। একের পর এক সুড়ঙ্গ পার করে তবেই মা সরস্বতীর কাছে পৌঁছনো যাবে। নীলগিরি পর্বতের বহু বাধা বিপত্তি কাটিয়ে তবেই মায়ের দর্শন করা যাবে। মণ্ডপজুড়ে আলো-আঁধারি পরিবেশ তুলে ধরা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের নাসিগ্রামের গোস্বামীপাড়া নেতাজি যুবক সঙ্ঘের সদস্যরা নীলগিরি আতঙ্কের আদলে থিম গড়ে মা সরস্বতীর আরাধনায় মেতে উঠেছেন।
মিলন সঙ্ঘের সৌজন্যে গ্রামের মানুষজনকে আনন্দ দিতেই থিমের মণ্ডপ গড়ে তোলা হয়েছে। রবিবার বিকেলে পুজোর উদ্বোধন করেন আড়া রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ তদরূপানন্দ মহারাজ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন এনএসজি মেজর তথা বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সঞ্জীব রায়, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক নবীনানন্দ হাজরা সহ বিশিষ্টরা। এই ক্লাবের সরস্বতী পুজোর বাজেট প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা। প্লাস্টার অব প্যারিস দিয়ে মণ্ডপ গড়ে তোলা হয়েছে। মণ্ডপে ঢুকলেই ভূত, প্রেতাত্মার দাপাদাপি মানুষজনের আকর্ষণ। পাহাড়ের নানা গুহাতেও ভূত-প্রেত বসে রয়েছে। আসলে নানা শিল্পী ভূত সেজে শব্দ ও আলোর কেরামতিতে ভৌতিক পরিবেশ গড়ে তুলেছে। ক্লাবের সম্পাদক কুণাল চট্টোপাধ্যায়, কোষাধ্যক্ষ সজল গোস্বামী, আহ্বায়ক ধীমান গোস্বামী বলেন, আমাদের এবার ১৪তম বর্ষ। গ্রামাঞ্চলের মানুষকে আনন্দ দিতেই এমন থিমের মণ্ডপ গড়ে তোলা হয়েছে।
এদিন থেকেই মণ্ডপ দেখতে ভিড় জমান গ্রামের বাসিন্দারা। নীল আলো ও আঁধারে পাহাড়ের গুহায় ভূতের দাপাদাপি দেখতে ছোটরাও ভিড় জমিয়েছে। চট, ফোম ও প্লাস্টার অব প্যারিস দিয়ে পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছে। নাসিগ্রাম এমনিতেই বর্ধিষ্ণু গ্রাম হিসেবে পরিচিত। গ্রামের গোস্বামীপাড়ায় এমন থিম অনেককে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। প্রতিমাতেও অভিনবত্ব রয়েছে। সোনার গয়না ও বেনারসীতে মা-কে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।-নিজস্ব চিত্র