নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: ঝাড়গ্রামের ‘আমাদের ক্লাবে’র’ সরস্বতী পুজো এবার ১১বছরে পড়ল। বাগদেবীর আরাধনা ঘিরে শহরের ১৩নম্বর ওয়ার্ডের নৃপেনপল্লি ছিল উৎসবমুখর। পুজোর মণ্ডপে ঠাকুর আনা, আলপনা দেওয়া থেকে সবরকম জোগাড় ও অতিথি বরণ নিয়ে ছিল সাজসাজ রব। পুজোর উদ্বোধনে এসে সরস্বতী পুজোর সময় স্কুলজীবনের আনন্দ, মায়ের শাড়ি পড়ার গল্প শোনালেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দারা পুজো পার্বণে একত্রিত হয়ে উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন। ছোট ছোট পাড়া যেন হয়ে ওঠে বৃহত্তর পরিবার। শহরের নৃপেনপল্লির একদল যুবক ২০১৪সালে একত্রিত হয়ে সরস্বতী পুজো শুরু করেন। স্বল্প বাজেটের পুজোয় আড়ম্বর না থাকলেও রয়েছে প্রাণের আনন্দ। পুজোর এক সপ্তাহ আগে থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। ঠাকুরের বায়না দেওয়া, চাঁদা তোলা, মণ্ডপ তৈরির দেখভালের কাজে পাড়ার ছেলেমেয়েরা ঝাঁপিয়ে পড়েন। ছোটদের সঙ্গে বড়রাও দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ফিতে কেটে পুজোর উদ্বোধন করেন। উত্তরীর পরিয়ে পুষ্পস্তবক দিয়ে তাঁকে সম্মান জানানো করা হয়। মণ্ডপ প্রাঙ্গণে কচিকাঁচাদের সঙ্গে মন্ত্রী এদিন আনন্দে মেতে ওঠেন। মন্ত্রী বলেন, আমি খুব ভালো ছাত্রী ছিলাম না। কিন্তু স্কুলে পুজো বা অনুষ্ঠানের আয়োজনের দায়িত্ব আমার উপর পড়ত। বেশ কিছুদিন আগে থেকে স্কুলে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যেত। পুজোর আগেরদিন মণ্ডপ তৈরির দেখভাল করা, বাজারে গিয়ে ফলমূল কেনা থেকে সবকিছু দল বেঁধে আমরা করতাম। পুজোর দিন সকালে স্নান করে মায়ের শাড়ি পরে স্কুলে যেতাম। অঞ্জলি দিতাম। তারপর বন্ধুরা মিলে মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে যেতাম। কচিকাঁচাদের শাড়ি পরা দেখে এদিন শৈশবের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা শ্যামা মিত্র বলেন, পুজোর দিনে ছোটদের মধ্যে আমরা শৈশবকে দেখতে পাই। পুজো কমিটির সভাপতি সুদীপ্ত মিত্র বলেন, পুজো ঘিরে পাড়ার সবাই একসঙ্গে আনন্দে মেতে উঠি। উৎসব আমাদের এক করে তোলে।-নিজস্ব চিত্র