নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: ‘প্রেম সপ্তাহের’ সূচনা হতে এখনও দিন কয়েক বাকি। কিন্তু তাতে কী? সরস্বতী পুজো থেকেই লাল গোলাপ বিক্রির ধুম পড়ে গিয়েছে পুরোদমে। আবার অতিরিক্ত চাহিদার জন্য চড়ছে দামও। শুধু লাল নয়, গোলাপি, সাদা, হলুদ রঙা গোলাপের চাহিদাও তুঙ্গে। রবিবার রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহার, ডালখোলা সর্বত্রই একই প্রবণতা।
সপ্তাহ খানেক পর ভ্যালেন্টাইন্স ডে। তার আগে রোজ ডে দিয়ে শুরু হবে প্রেম সপ্তাহ। কিন্তু সরস্বতী পুজো এবার একটু আগে হওয়ায় ধৈর্য্য ধরতে রাজি নন তরুণ-তরুণীরা। দামে ধাক্কা খেলেও রংবেরঙের একগুচ্ছ গোলাপ কিনে প্রিয় মানুষকে দেওয়া শুরু এদিন থেকেই। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে গোলাপ ফুল বিক্রিতে। একদিকে যেমন শতাধিক গোলাপ বিক্রি করে খুশি ফুল বিক্রেতারা। তেমনই রংবেরঙের গোলাপ পেয়ে মুখে হাসি ফুটেছে ক্রেতাদেরও। শুধু আক্ষেপ ৬০ টাকা ছুঁয়ে গিয়েছে এক পিস গোলাপের দাম। ছোট গোলাপ বিক্রি হয়েছে ২০ টাকায়।
রায়গঞ্জ শহরের বিদ্রোহী মোড় সংলগ্ন ফুলের দোকানের মালিক বিদ্যুৎ সাহা বলেন, এবার বিশেষ আকর্ষণ লম্বা ডাঁটিওয়ালা বিশেষ প্রজাতির গোলাপ। যেগুলি আসে বেঙ্গালুরু থেকে। এ বার সেই গোলাপেরই চাহিদা বেশি। যেগুলি এদিন প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শনিবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছে গোলাপ বিক্রির ধুম। রবিবার বিকেলে পর্যন্ত অন্তত আড়াইশো পিস গোলাপ বিক্রি হয়েছে। সাধারণ সময়ে এই গোলাপ সর্বোচ্চ ৩০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে। এদিন ৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ জোগান কম চাহিদা বেশি। একই অবস্থা ঘড়ি মোড়, মোহনবাটি বাজার সংলগ্ন ফুলের দোকানগুলিতে। সেখানেও তরুণ, তরুণীরা এদিন থেকেই ভিড় জমিয়েছেন। দোকানদার বলেন, এখন এক, দু’পিস নয়, রংবেরঙের গোলাপের গুচ্ছ নিচ্ছেন অনেকে। শহর সংলগ্ন রারিয়ার বাসিন্দা বেসরকারি সংস্থার কর্মী জিৎ সরকার, ধনগোপাল চাকিরা বলেন, গত কয়েক বছর ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে গোলাপ কিনেছিলাম। আগে ৩০ টাকাতে পেলেও কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দিতে হচ্ছে এক পিস গোলাপ কিনতে। - নিজস্ব চিত্র।