• কৃত্রিম হাত পেয়ে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরলেন ঠিলবিলের ভূপাল
    বর্তমান | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ইটাহার: প্রশাসনের উদ্যোগে ৪০ বছর পর কৃত্রিম হাত পেয়ে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরলেন ঠিলবিলের ভূপালচন্দ্র মণ্ডল। প্রত্যাশা পূরণ হতেই ধন্যবাদ জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও ভগবান মহাবীর বিকলাঙ্গ সহায়তা সমিতির সহযোগিতায় ইটাহার পলিটেকনিকের প্রাঙ্গণে উদ্বোধন হয় জয়পুর ফুট ক্যাম্পের। চলবে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। শিবির থেকে বিশেষভাবে সক্ষম  শতাধিক মানুষ কৃত্রিম অঙ্গ পাবেন। ইটাহার ব্লক প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় জয়পুর ফুট ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা ও ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হুসেন। উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি, বিডিও দিব্যেন্দু সরকার, কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান রামনিবাস সাহা প্রমুখ। সকাল থেকে শিবিরে ভিড় জমাতে থাকেন ব্লকের বিভিন্ন এলাকার বিশেষভাবে সক্ষমরা। শিবিরে আসেন ইটাহারের মারনাই অঞ্চলের ঠিলবিল গ্রামের বাসিন্দা ভূপাল। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ছোটবেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁর ডান হাত নষ্ট হয়ে যায়। অনেক চিকিৎসার পড়েও ঠিক হয়নি। কেটে বাদ দিতে হয়। বাড়ির  একমাত্র রোজগেরে তিনি। আর পাঁচটা মানুষের মতো কাজ করতে পারছিলেন না ভূপাল। কোনও দিন তাঁকে কৃত্রিম হাত দেওয়ার ব্যবস্থা নেননি কেউ। কয়েকদিন আগে ভূপাল জানতে পারেন, ইটাহারে সরকারিভাবে শিবির করে বিশেষভাবে সক্ষমদের কৃত্রিম অঙ্গ দেওয়া হবে। শুনে পঞ্চাশোর্ধ্ব ভূপাল সোজা চলে আসেন শিবিরে। প্রশাসনের কাছে নথি জমা দেন। এরপর জয়পুরের একটি সংস্থার সদস্যরা তাঁর হাতের মাপ নেন। এদিন জেলাশাসক ও বিধায়ক তাঁর হাতে তুলে দেন কৃত্রিম হাত। হাত পেয়েই সাইকেল চালিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন ভূপাল। যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রায় ৪০ বছর পর আশাকরি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব। লালগঞ্জের ১২ বছরের জিসান আফ্রোজ ওয়াকার পেয়ে খুব খুশি। জেলাশাসক জানান, যাঁরা এই শিবিরে আসবেন সকলকে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণের পর হুইলচেয়ার, ট্রাই সাইকেল, কৃত্রিম হাত ও পা সহ অন্য সামগ্রী দেওয়া হবে। এই শিবির ধাপে ধাপে অন্য ব্লকেও হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)