নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও সংবাদদাতা, বারুইপুর: আর এক সপ্তাহ বাদেই শুরু মাধ্যমিক। এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু রাত নামলেই যে বাঘের ডাক! তার উপর সন্ধ্যা নামলে লোডশেডিংয়ের দাপট। ফলে মাধ্যমিকের প্রস্তুতি প্রায় লাটে উঠেছে মৈপীঠের পরীক্ষার্থীদের। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৩৬ জন পড়ুয়া। তার মধ্যে ৫৬ হাজার ৫৮২ জন ছাত্রী, বাকি ৪৪ হাজার ৪৫৪ জন ছাত্র।
গত দু’সপ্তাহে আটবার বাঘ বেরিয়েছে মৈপীঠের একাধিক গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে। তার মধ্যে দু’বার একেবারে ঘরের দুয়ারে এসে হাজির হয়েছিল দক্ষিণরায়। দিনরাত আতঙ্ক বুকে নিয়েই দিনযাপন করেন মৈপীঠের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা। তার প্রভাব পড়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের উপর। জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামে দু’টি স্কুলে মাধ্যমিকের সিট পড়েছে। জানা গিয়েছে, মৈপীঠ উপকূল থানার অন্তর্গত অম্বিকানগর হরিপ্রিয়া হাইস্কুল ও দেবীপুর এইচএম বিদ্যাপীঠে পরীক্ষা দিতে আসবে নগেনাবাদ, বিনোদপুর, বৈকুণ্ঠপুর, ভুবনেশ্বরী সহ কয়েকটি গ্রামের ছেলেমেয়েরা। গত কয়েকদিন ধরে এসব জায়গায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। হিসেব করে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৫০০ পরীক্ষার্থীর সিট পড়েছে এই দুই স্কুলে। এদিকে, এই সব গ্রামে দুপুরের পর লো ভোল্টেজ আর বিকেল হতেই লোডশেডিংয়ে বিরক্ত হয়ে পড়ছেন গ্রামবাসীরা। কুপি, হ্যারিকেন বা লম্ফ জ্বালিয়ে পড়াশোনা করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। তাদেরই একজন জানায়, আগেও এখানে বাঘ বেরিয়েছে। কিন্তু এবারের মতো নয়। রাতে সবসময় টেনশনে থাকি আমরা। পড়ায় মন বসে না। তার উপর লোডশেডিংয়ের জন্য আরও অসুবিধা হচ্ছে। এই ব্যাপারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগ অবশ্য বাড়তি নজরদারি চালাবে বলে জানিয়েছে। কুলতলি ব্লকের বিডিও সুচন্দন বৈদ্য বলেন, লোডশেডিংয়ের সমস্যার কথা বিদ্যুৎ বিভাগকে বলা হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত সমাধান হবে।