হকার শংসাপত্র দেওয়ার উদ্যোগ, নিয়োগ করা হবে চুক্তিভিত্তিক কর্মী
বর্তমান | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতা শহরে হকার সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে গত বছর। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, নথিভুক্ত হকারের সংখ্যা ৫৪ হাজার ১৭৮। কিন্তু, সেই সমীক্ষার পর হকার নিয়ে ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছিল পুর প্রশাসন। এবার ভেন্ডিং সার্টিফিকেট বা হকার শংসাপত্র দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করল পুরসভা। এই বিপুল পরিমাণ সার্টিফিকেট ইস্যু করতে কলকাতা পুরসভার প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিকাঠামো। তাই, চুক্তিতে বাইরে থেকে কর্মী (ডেটা এন্ট্রি অপারেটর) নিয়োগ করে শংসাপত্র দিতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।
গত বছর হকার নিয়ে সমীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই দুর্গাপুজোর কেনাকাটা শুরু হয়ে যায়। অন্যদিকে, আর জি করের ঘটনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সরকার। তাই, গোটা পরিকল্পনা চলে যায় ‘ঠান্ডা ঘরে’। সেই অসমাপ্ত কাজই এবার শুরু হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, শুধু শহরের বিভিন্ন ফুটপাতে বসা হকাররাই সার্টিফিকেট পাবেন। রাস্তায় বসা হকারদের নথিভুক্ত করা হয়নি। তাঁরা কোন ফুটপাতে কতটা জায়গা নিয়ে ব্যবসা করছেন, তাঁদের নাম, প্যান ও আধার কার্ড নম্বর নথিবদ্ধ করার পর লোকেশন জিও ট্যাগিং করে এই ডিজিটাল সমীক্ষা করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে হকার জোন বা ভেন্ডিং জোনে কতজন হকার রয়েছেন, নন-ভেন্ডিং জোনে ফুটপাতের উপর কতজন ব্যবসা করছেন, সেই তথ্য রয়েছে। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, কোনও হকারকে উচ্ছেদ করা আমাদের লক্ষ্য নয়। প্রত্যেককে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। তবে সার্টিফিকেটের জন্য প্রত্যেককে আবেদন করতে হবে। প্রচুর সার্টিফিকেট একসঙ্গে ইস্যু করার মতো পর্যাপ্ত লোকবল বা পরিকাঠামো, আমাদের নেই। ঠিক হয়েছে, এই কাজের জন্য ১০-১২ জন চুক্তিভিত্তিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নেওয়া হবে। যাঁরা আবেদনপত্র ডিজিটালি নথিভুক্ত করবেন। সেক্ষেত্রে একটি সংস্থার সঙ্গে কথা চলছে। সূত্রের খবর, ওই সংস্থাটি সার্টিফিকেট পিছু ৩৫ টাকা কিংবা কর্মী পিছু দৈনিক মজুরি হিসেবে ৫০০ টাকা করে চেয়েছে।
তবে, হকার সমীক্ষার পর এখনও বেশ কিছু প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে শহরে স্থানাভাবের জেরে বাড়তি হকারদের কোথায়, কীভাবে পুনর্বাসন দেওয়া হবে, নন-ভেন্ডিং জোনে ডালা নিয়ে যে হকাররা বসে আছেন, তাঁদের ভেন্ডিং জোনের আওতায় আনা হবে কি না, এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।