• গ্রাহাম রোড এখন যেন ‘ওয়াকিং লেন’, জঞ্জালের স্তূপ, অন্ধকার পরিবেশ অতীত
    বর্তমান | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গল্ফগ্রিনের গ্রাহাম রোডে ময়লার স্তূপ থেকে মিলেছিল কাটামুণ্ড। শহরের অন্যতম অভিজাত অঞ্চলে এরকম ঘটনা ঘটায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল বাসিন্দাদের মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও নির্জন। সেভাবে লাইটও নেই। সেই ঘটনার দেড় মাসের মাথায় গ্রাহাম রোডের চেহারাই বদলে দিল কলকাতা পুরসভা। গ্রাহাম রোডের ওই অংশে এখন ময়লার ভ্যাট অতীত। চওড়া হয়েছে রাস্তা। বসেছে একাধিক লাইট। পুলিস পিকেটও। সম্প্রতি, নবরূপ পাওয়া সেই ‘ওয়াকিং লেন’-এর উদ্বোধন করেন অঞ্চলের বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ছিলেন এলাকার কাউন্সিলাররা।


    উদয়শঙ্কর সরণি এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রোডকে সংযুক্ত করেছে গ্রাহাম রোড। প্রায় দু’কিলোমিটার এই পথের পাশে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি আবাসন। গোটা রাস্তাজুড়ে প্রচুর গাছপালা। পথবাতি কম থাকায় রাস্তার বহু অংশ অন্ধকার হয়ে থাকত। একটি মাত্র সিসি ক্যামেরা ছিল। সন্ধ্যার পর রাস্তাটি নির্জনও হয়ে পড়ত। রাস্তার অন্য প্রান্তে বস্তি রয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর সেখানে আবর্জনার স্তূপ থেকে একটি কাটামুণ্ড উদ্ধার হয়। তারপর নড়েচড়ে বসে পুরসভা। তার আগে পুরসভার মাসিক অধিবেশনে এই রাস্তায় নোংরা-আবর্জনা জমে থাকা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তপন দাশগুপ্ত। এরপর রাস্তার জঞ্জাল সাফ করেছে পুরসভা। এই জায়গাটি ৯৫ এবং ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানা অঞ্চল। ঘটনার পর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন পুরসভার কমিশনার ও সড়ক, আলো সহ ও একাধিক বিভাগের আধিকারিকরা। সেই রাস্তা এখন ঝকঝকে। আলো ঝলমলে।


    হাঁটার জন্য স্থানীয়দের উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ বলে জানাচ্ছেন কাউন্সিলার তপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, রাস্তাটি নির্জন ছিল। আবর্জনা জমে একপাশের পিচ উঠে গিয়েছিল। ফলে সেভাবে কেউ যাতায়াতও করতেন না। এখন যেভাবে রাস্তাটি সহ গোটা এলাকা সাজিয়ে তোলা হয়েছে, তাতে এলাকার স্বাস্থ্যসচেতন লোকেরা জগিংও করতে পারবেন। প্রচুর লাইটও বসানো হয়েছে। নির্জনতা কেটেছে। পুরসভার আলোক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০টির বেশি নতুন লাইট লাগানো হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)