ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রস্তুতি, মশার আঁতুড়ঘর দেড় হাজারের উপর
বর্তমান | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন চলতি বছরে ডেঙ্গু মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। কোথায় অপরিষ্কার নর্দমা, কোথায় খোলা সোকপিট, কোথায় আবর্জনা পড়ে রয়েছে, সেই সব জায়গা চিহ্নিতকরণের কাজ ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছে তারা। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেড় হাজারের বেশি জায়গা মশার সম্ভাব্য আঁতুড়ঘর (পেরেনিয়াল ব্রিডিং স্পট) হিসেবে উঠে এসেছে। সেই সব জায়গায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্লক এবং পঞ্চায়েত স্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালে এই জেলায় ৭৭৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মারা গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা কমানোই লক্ষ্য প্রশাসনের। গত ৩০ জানুয়ারির রিপোর্ট অনুযায়ী, বহু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মূল সমস্যা হল অপরিষ্কার নর্দমা। কুলতলির কাঁটামারিতে এমন অজস্র নর্দমার সন্ধান মিলেছে। জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের নলগরা ঘটিহারানিয়া বাজারে প্রায় সব সময় আবর্জনার স্তূপ দেখা যায়। বেশিরভাগ জায়গাতেই সেগুলি নিয়মিত সাফাই করা হয় না বলেই অভিযোগ। পঞ্চায়েত স্তরে মশাবাহিত রোগ নিয়ে কাজ করেন যাঁরা, তাঁরাই এই স্পটগুলি চিহ্নিত করেছেন। ওই কর্মীরা বলছেন, পুরসভা হোক বা পঞ্চায়েত এলাকা, পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে অনেক পরিত্যক্ত সোকপিট। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে জল জমে থাকে। দ্রুত পদক্ষেপ না করলে আগামী দিনে সেসব জায়গায় মশা বংশ বৃদ্ধি করতে পারে।
ডায়মন্ডহারবার মহকুমায় মশার সম্ভাব্য আঁতুড়ঘরের খোঁজ মিলেছে ফলতা ও মগরাহাট ২ নম্বর ব্লক এলাকায়। তবে সাগর ও ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকে এমন কোনও জায়রা খোঁজ মেলেনি। কুলপি এবং মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকে এমন একটি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি ব্লক এলাকায় কমবেশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মশার ব্রিডিং স্পট।