প্রেমিকের বিরুদ্ধে বধূকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ, তুমুল চাঞ্চল্য
বর্তমান | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, বারুইপুর: চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে অক্টোবর মাসে মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয়েছে মূল অভিযুক্তের। তিন মাস বাদে আবার ঘটনাস্থল সেই জয়নগর। এবার এক বধূকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তাঁরই প্রেমিকের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে জাঙ্গালিয়া এলাকার একটি মাঠ থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে জয়নগর থানার পুলিস। তাঁর মুখে রক্ত ও কাপড়ে কাদার দাগ ছিল স্পষ্ট। বধূকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় জয়নগরের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বারুইপুর পুলিস জেলার এক আধিকারিক বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
মগরাহাটের কলস এলাকায় ওই বধূর শ্বশুরবাড়ি। সাত বছর আগে খোকন শেখ নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। নির্যাতিতার মা বলেন, শনিবার রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে বিয়ে বাড়ি যাচ্ছি বলে মেয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। তারপরে আর ফেরেনি। জামাই আমাদের বাড়িতে মেয়ের খোঁজ নিতেও এসেছিল। ওইদিন রাত থেকে ওর সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি। এদিকে, এদিন সকালে মাঠে এক মহিলার আর্তনাদ শুনে এলাকার লোকজন দ্রুত সেখানে যান। এরপর পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় নির্যাতিতা পুলিসকে বলেন, সাব্বির নামে এক যুবক তাঁকে জয়নগরে নিয়ে এসেছিল। সেই ধর্ষণ করেছে। পরে ওড়না গলায় জড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টাও করেছে।
এদিকে, পুলিস তদন্তে জানতে পেরেছে যে, মগরাহাটে ওই সাব্বির নামে যুবকের সঙ্গে বধূর কয়েক বছর ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। এই নিয়ে তাঁর পরিবারে অশান্তিও হয়। সালিশিও বসেছিল মীমাংসার জন্য। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই এমন নৃশংস কাণ্ড বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হলে আরও অনেক তথ্য জানা যাবে বলে তাঁদের আশা। অন্যদিকে, মহিলার অভিযোগের সত্যতাও যাচাই করা হচ্ছে।