এই সময়: ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে জমা পড়া সমস্ত আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তার সমাধান করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের সময়ে প্রথম এই কর্মসূচির সূচনা হয়েছিল। গত ২৪ জানুয়ারি থেকে দুয়ারে সরকারের নবম সংস্করণ শুরু হয়েছে।
রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুয়ারে সরকারের নবম পর্ব শুরু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত এক কোটির বেশি মানুষ বিভিন্ন ক্যাম্পে এসেছেন। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে রাজ্যে সরকারের ৩৭টি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করা যায়। ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’–এর মতো ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের সঙ্গে বার্ধক্য ভাতা, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী প্রভৃতি প্রকল্পের সুবিধা পেতেও দুয়ারে সরকারে আবেদন করা যায়।
এ ছাড়া জাতিগত শংসাপত্র, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সংক্রান্ত শংসাপত্রের জন্যও দুয়ারে সরকারে আবেদন করা যায়। রাজ্যের দুর্গম এলাকাগুলিতে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির জন্য বিশেষ মোবাইল ক্যাম্পের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে এক লক্ষের বেশি ক্যাম্প হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন।
মমতা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমরা ৭৬ লক্ষের বেশি আবেদনপত্র পেয়েছি। এই আবেদনপত্রের ৫০ শতাংশ ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখা হয়ে (প্রসেসড) গিয়েছে। আমাদের আধিকারিকরা নিরন্তর কাজ করছেন। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমস্ত আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শেষ হয়ে যাবে।’ এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন ক্যাম্পে আসা মানুষের সমস্যা শুনতে সরকারি আধিকারিক ছাড়াও পুলিশ, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য, স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা নেওয়া হয়। এঁদের নিরলস পরিশ্রমের জন্যই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি এ বারেও সফল হয়েছে বলে মমতার পর্যবেক্ষণ।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘সমস্ত সরকারি আধিকারিক, বিভাগীয় কর্মী, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য, কন্যাশ্রী মেয়েদের, স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানাই। দুয়ারে সরকারকে সফল করতে তাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এছাড়া দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে রাজ্যের মানুষের বিপুল সমর্থন ও অংশগ্রহণের জন্যও আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’ রাজ্যের কোনও মৌজা যাতে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে বাদ না পড়ে, তার জন্য নবান্ন স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল। জানুয়ারির চতুর্থ সপ্তাহে দুয়ারে সরকার শুরু হওয়ার আগে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সমস্ত জেলাশাসককে নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেছিলেন। সেখানে দুয়ারে সরকারের সমস্ত ক্যাম্পের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল।