সূর্যকান্ত কুমার, কালনা
যখন ছাত্র ছিলেন তখন স্কুলের সরস্বতী পুজোয় সহপাঠীদের সঙ্গে সমস্ত কাজ করেছেন। দিয়েছেন অঞ্জলি। এখন নিজের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পোশাক তৈরি ও ফ্যাশন ডিজ়াইনিংয়ের কোর্স করান পূর্বস্থলীর ধাড়াপাড়ার সাইফুল বিশ্বাস। রয়েছেন ১৩৭ জন ছাত্রী। তাঁদের নিয়ে এ বার নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্প্রীতির আবহে বিদ্যার দেবীর আরাধনা করলেন সাইফুল।
মাস পাঁচেক আগে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছেন সাইফুল। রবিবার তিথি মেনে সেখানে হলো সরস্বতী পুজো। সকাল থেকে ছিল সাজো সাজো রব। প্রতিমা আনা থেকে পুজোর আয়োজন সবকিছুতে মৌমিতা কর্মকার, অনিন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে ব্যস্ত থেকেছেন কাকলি বিবি, ইতি খাতুনরা। অনিন্দিতা বলেন, ‘জ্ঞান ও বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতী। এখানে ধর্মটা কোনও বিষয় নয়। মুসলিম সহপাঠীরাও পুষ্পাঞ্জলি দিয়েছে।’
কাকলি বিবির কথায়, ‘আমরা একসঙ্গে প্রশিক্ষণ নিই। তাই পুজোটাও একসঙ্গে করলাম।’ শিক্ষিকা মৌমিতা কর্মকার, শিক্ষক রাহুল বিশ্বাস বলেন, ‘সবাই মিলেমিশে পুজো করাতেই আনন্দ। মা সরস্বতী তো সবার।’ সাইফুলের বক্তব্য, ‘এই এলাকায় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সহাবস্থান। বুঝতে পারবেন না কোনটা মুসলিম বাড়ি আর কোনটা হিন্দু বাড়ি। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনও একই ভাবে আমাদের পরবে অংশগ্রহণ করেন। এটাই এখানকার রীতি। বুধবার খাওয়াদাওয়ারও আয়োজন করা হয়েছে। এখন তা নিয়েই ব্যস্ত সকলে।’