রাতের কলকাতায় ফের ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা। রবিবার রাতে কাঁকুড়গাছি রেলব্রিজের নীচে একটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। কোনও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও আহত হয়েছেন কয়েক জন।
জানা গিয়েছে, ধর্মতলা থেকে বাসটি উল্টোডাঙার দিকে যাচ্ছিল। যাত্রীদের অভিযোগ, ফাঁকা জায়গায় বাস শম্বুকগতিতে এগোতে থাকে, ইচ্ছা করে সিগন্যাল খায়। অথচ যেখানে গতি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন, সেখানে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। অভিযোগ, রবিবার রাতে এই গতির বাড়াবাড়ির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
কাঁকুড়গাছি রেল ব্রিজের নীচে হঠাৎই বেসরকারি ওই বাসটি জ্যাম এড়াতে অন্য লেনে ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। এ দিকে সেই সময় ওই লেন ধরে একটি লরি আসছিল। বাস-লরি একেবারে মুখোমুখি চলে আসায় সজোরে ধাক্কা লাগে। বাসের ভিতরে থাকা যাত্রীরা এ দিক ও দিক ছিটকে পড়েন। বরাত জোরে বড় বিপদ ঘটেনি। বাসের কন্ডাক্টর, চালক, লরির চালক— সকলেই পালিয়ে যান।
এই ঘটনায় ট্র্যাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা। রাজপথে পথদুর্ঘটনা, বেপরোয়া গাড়ির দাপাদাপি নতুন নয়। গত মাসেই যাদবপুরে এইটবি বাস স্ট্যান্ডের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। মেয়েকে স্কুটিতে চাপিয়ে স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন বাবা-মা। পিছন থেকে তাঁদের স্কুটিতে ধাক্কা দেয় বাস। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩৭ বছরের দেবশ্রী মণ্ডলের।
গত ডিসেম্বরে বছর শেষের দিনও খাস কলকাতায় দিনে দুপুরে বাসের রেষারেষিতে আহত হন এক মহিলা। তেলেঙ্গাবাগানে রাস্তা পার হওয়ার সময় তাঁকে ধাক্কা মারে বারাসত-হাওড়া রুটের একটি বাস। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়, বাসে ভাঙচুরও করেন উত্তেজিত জনতা। রবিবার রাতে ফের দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ যানজট তৈরি হয় ওই এলাকায়।