• শূন্যতা কাটাতে নিয়মভঙ্গ! চতুর্থবার পূর্ব মেদিনীপুরে সিপিএমের জেলা সম্পাদক পদে নিরঞ্জন সিহি
    প্রতিদিন | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সৈকত মাইতি, তমলুক: শূন্যতা সঙ্গী বহুদিনেরই। তা কাটাতে সংগঠনে কম সংস্কার হয়নি। বৃদ্ধতন্ত্রের উপর থেকে ভার কমিয়ে তারুণ্যে ভর করা হয়েছিল। তাতেও অবশ্য কাজ হয়নি। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের তরুণ প্রার্থীরা জামানত বাঁচাতে পারেননি। এখন সামনে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট। তার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আলিমুদ্দিন। জেলা সম্মেলনগুলি থেকে বারবার বার্তা দেওয়া হচ্ছে, জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য। এই পরিস্থিতিতে অবশ্য দলের গঠনতন্ত্র ভাঙতেও পিছপা হচ্ছেন না কমরেডকুল। নিয়ম ভেঙে চতুর্থবার পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা সিপিএম সম্পাদক পদে বসলেন নিরঞ্জন সিহি। রবিবার পাঁশকুড়ায় তিনদিন ধরে চলা জেলা সম্মেলন শেষে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জেলায় লক্ষ্মণ শেঠ জমানার পর তিনবার জেলা সম্পাদক হওয়ার রেকর্ড ছিল নিরঞ্জন সিহির। এবার তাও ছাপিয়ে গেল। পাঁশকুড়ার রবীন্দ্র-নজরুল মঞ্চে শুরু হয়েছিল সিপিএমের ২৫ তম জেলা সম্মেলন। শুক্রবার এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ত্রিদিব ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য নেতা মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, অনাদি সাহু, ইব্রাহিম আলী, হিমাংশু দাস-সহ অন্যান্য জেলার নেতারাও। যেখানে জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রায় সাড়ে ৪০৩ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছিলেন।

    তিনদিনের আলোচনা শেষে রবিবার পুরনো জেলা কমিটি ভেঙে ৬০ জনের নতুন একটি জেলা কমিটি গঠিত হয়। আর এই কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে ফের জেলা সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন নিরঞ্জন বাবু। এনিয়ে চতুর্থবার। এ বিষয়ে নিরঞ্জন সিহির প্রতিক্রিয়া, “গঠনতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী সাধারণত চারবার কেউ জেলা সম্পাদক হয় না। কিন্তু ৭৫ ভাগ যদি সমর্থন দেয় তাহলে চতুর্থবারের জন্য সম্পাদক হওয়া যায়। কিন্তু ১০০ ভাগই আমাকে সমর্থন দিয়েছে তাই রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব পুনরায় আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।” এরপরও অবশ্য প্রশ্ন থাকছে, নিরঞ্জন-নির্ভর হয়ে কি একসময়ের লাল দুর্গে রং ফেরাতে পারবে সিপিএম?
  • Link to this news (প্রতিদিন)