সমস্ত স্কুল যখন সরস্বতী পুজোর আনন্দে মেতে, সেই সময়ে থমথমে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের শিরষা প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলে আয়োজন করা হয়নি সরস্বতী পুজোর। মন খারাপ খুদে পড়ুয়াদের। গোটা রাজ্য যখন বাগদেবীর আরাধনায় মেতে তখন কেন ব্যতিক্রমী চিত্র এই প্রাথমিক স্কুলে?
শিরষা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কুমার দত্ত দাবি করেছেন, ‘স্কুলের সহ-শিক্ষিকা ছুটিতে রয়েছেন। আমার একার পক্ষে পুজোর আয়োজন করা সম্ভব নয়।’ অভিভাবকদের সঙ্গে মিটিংয়ে বিষয়টি আগেই জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। সকলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
পুজো বন্ধ থাকায় সোমবার বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের শিরষা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান । অভিভাবকদের দাবি, স্বাধীনতার আগে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলে প্রতি বছর নিয়ম করে সরস্বতী পুজো হয়। তাঁদের আরও দাবি, কেন এই বছর পুজো বন্ধ, তা তাঁদের জানা নেই।
বেলিয়াতোড়ের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিবেক সিং দাবি করেছেন, তিনি নিজেও ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ রাখা নিয়ে অনেক অভিভাবকই তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। ১৯৪৬ সাল থেকে স্কুলে পুজো হয়ে আসছে বলে দাবি করেছেন বিবেক। তাঁর কথায়, ‘কচিকাঁচারা সারা বছর এই দিনটার প্রতীক্ষায় থাকেন। এ ভাবে পুজো বন্ধ করা ঠিক হয়নি।’
একদিকে যখন স্কুলের প্রধান শিক্ষক দাবি করছেন সকলের সম্মতিতেই পুজো বন্ধ রাখা হয়েছে তাহলে কেন এই বিক্ষোভ? অভিভাবকদের দাবি, এই বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করা হয়নি। অভিভাবকদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।