• বাঁধের রাস্তা-শ্মশানে বাঘের পায়ের ছাপ, ফের আতঙ্ক মৈপীঠে
    এই সময় | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আবারো বাঘের পায়ের ছাপ ঘিরে আতঙ্ক ছড়ালো কুলতলির মৈপীঠ উপকূল থানার উত্তর বৈকুণ্ঠপুর এলাকায়। সোমবার সকালে চাষের কাজ করতে গিয়ে এক কৃষক এই পাগমার্ক দেখেন। এর পরই গ্রামের লোকজনকে খবর দেন। খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরেও।

    গত ডিসেম্বর মাস থেকে মৈপীঠে একাধিক বার বাঘ আসার খবর সামনে এসেছে। কিছু দিন আগেই দেবীপুরে এক মহিলার বাড়িতে বাঘ ঢুকে পড়েছিল। গত সপ্তাহেই হরিয়াখালি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে একেবারে বাঘের সামনে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনুপম গিরি নামে স্থানীয় এক যুবক ৷ উত্তর বৈকুণ্ঠপুরে বাঘের আতঙ্ক এ বার।

    ভয়ে কাঁপছেন গ্রামের মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, নদীবাঁধ লাগোয়া একটাই রাস্তা। বাঁধের ধারে মানুষের বসবাস। ক্রমেই তা বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। প্রায় প্রায়ই বাঘের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, ঠিক যেমন ছড়িয়েছে সোমবার।

    এলাকার বাসিন্দা অজয়কুমার দাস জানান, সামনেই শ্মশান। পাশে ধানের জমিতে সোমবার কৃষক কাজ করছিলেন। তিনিই প্রথম বাঘের পায়ের ছাপ দেখেন। একেবারে টাটকা পায়ের ছাপ। অজয় বলেন, ‘সকালেই বাঘ এসেছিল। রাস্তায় হেঁটেছে, শ্মশানে, জঙ্গলেও ঘুরেছে। তাতেই গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত। বারবার এখানে বাঘ আসছে। বনদপ্তর কিছু ব্যবস্থা নিক।’

    খবর পেয়ে আসেন মৈপীঠ -বৈকুণ্ঠপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান জ্যোৎস্না শী। তিনি জানান, পায়ের ছাপ অনুসরণ করেই বাঘের অবস্থান বোঝার চেষ্টা করছেন বনদপ্তরের কর্মীরা। এলাকার লোকজন জানান, আজমলমারি ১২ নম্বর জঙ্গল থেকে মাকড়ি নদী সাঁতরে বারবার লোকালয়ে ঢুকছে বাঘ।

    পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য, গবাদি পশু মরলে তা জঙ্গল এলাকায় না ফেলে মাটি খুঁড়ে যাতে পুঁতে দেন, তার জন্য মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। গবাদি পশু মারা গেলে, জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় ফেললে, তার টানে বাঘ বারবার জঙ্গল ছেড়ে লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় চলে আসছে।

  • Link to this news (এই সময়)