সরস্বতী পুজোর দিন স্কুলের গেট বন্ধ, হয়নি পুজো। প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। বোলপুরের নিম্ন বাঁধগোড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদ্যালয়ে পৌঁছন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ও বোলপুর থানার পুলিশ। শুধু তাই নয়, স্কুলের বন্ধ গেটের সামনে প্রতিমা রেখে পুজোও করেন অভিভাবকরা। পুজোর দিনে এমনই নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী রইল বোলপুর।
বাকি সব স্কুলে যখন পুরোহিত মন্ত্র পড়ছেন, স্কুলের কচিকাঁচারা ঝলমলে পোশাক পরে হইহই করছে, বোলপুরের নিম্ন বাঁধগোড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তখন অন্য ছবি। ১৯৭৩ সালে বীরভূমের বোলপুরে নিম্ন বাঁধগোড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পথ চলা শুরু হয়। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, এতগুলো বছরে এই প্রথমবার স্কুলে পুজো বন্ধ রইল।
কিন্তু কেন এত বছরের রীতি-আচারে ছেদ? অভিভাবকদের অভিযোগ, তাঁরা প্রধান শিক্ষকের কাছে পুজো বন্ধের কারণ জানতে চেয়েছিলেন। প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ে যে পুজো করতেই হবে, কোনও সরকারি নিয়ম নেই।
সকাল থেকে এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় স্কুলে। পরিস্থিতি অশান্ত হওয়ায়, বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি প্রলয় নায়েক সেখানে যান। প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে ডেকে পাঠান তিনি। এ দিকে প্রধান শিক্ষক স্কুলে যেতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা।
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক জানান, যা ঘটেছে, তা একেবারেই কাম্য নয়। কেন এমন হলো, কেন স্কুলে পুজো হলো না, প্রধান শিক্ষকের কাছে জবাব চাওয়া হবে। যদিও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সরস্বতী পুজোর বিরোধী নই। কিন্তু আমাদের কয়েকজন শিক্ষক ছুটিতে আছেন। আর আমিও অসুস্থ। তাই স্কুলে পুজো করতে পারিনি।’