সুমন ঘোষ ■ খড়্গপুর
কারও বাবা নেই। কারও মা পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। এমন অবস্থায় মেয়ের বিয়ের আয়োজন করতে গিয়ে হিমশিম খান বাবা–মা। ছোট করে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজনও তাঁদের পক্ষে অসম্ভব। আবার অনেক সময়ে দেখা যায় অভাবী পরিবারকে টার্গেট করে বাইরের কিছু যুবক। অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েদের নিয়ে পালায় তারা। এ ভাবে বিয়ের নামে পাচারের তথ্যও মিলেছে।
সেই সব গরিব অসহায় বাবা–মায়ের চিন্তা দূর করতে এগিয়ে এসেছে খড়্গপুর শহরের তালবাগিচার ভলক্যানো ক্লাব। ওই ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা প্রতিবছরই গণবিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ক্লাবের সভাপতি দীপঙ্কর দাস ও সম্পাদক সুব্রত তাপালির কথায়, ‘অনেক গরিব বাবা-মা টাকার অভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে পারেন না। এই যে শোনেন মেয়েরা সব পাচার হয়ে যাচ্ছে, তার পিছনে অন্যতম কারণ এটাও।’
এখনও পর্যন্ত ভলক্যানো এ ভাবে ১০৪ জন তরুণীর বিয়ে দিয়েছে। ২০১৭-এ ১১ জনের গণবিবাহ দিয়ে পথ চলা শুরু ভলক্যানোর। কোনও বছর ১৭ জোড়া, কোনও বছর ২১ জোড়া পাত্রপাত্রীর বিয়ে দিয়েছে তারা। আর এ বছরে গণবিবাহের আসরে বিয়ে হবে ১৪ জোড়া পাত্র–পাত্রীর। আজ, সোমবার সরস্বতী পুজোর দিনই বসবে সেই বিয়ের আসর। খড়্গপুরের শহরের বিভিন্ন ক্লাব, ব্যবসায়ী, মানুষ, কাউন্সিলাররা এই অনুষ্ঠানে সাহায্য করেন।
বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর আধার কার্ড এবং বয়সের প্রমাণপত্র নেয় ক্লাব। স্থানীয় কাউন্সিলার বা পঞ্চায়েত সদস্যর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বিয়েতে আপত্তি নেই বলে তাঁদের কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হয়। তারপরই বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়।