গুলেন বারি নিয়ে হাসপাতালগুলিকে একাধিক নির্দেশ স্বাস্থ্য দপ্তরের
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গুলেন বারি সিনড্রোম নিয়ে আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। মহারাষ্ট্রে এই রোগে এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাতেও একাধিক আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। বেশ কয়েকটি শিশুর শরীরে দানা বেঁধেছে এই রোগ। এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দপ্তরও। গুলেন বারি সিনড্রোম নিয়ে সিনড্রোম নিয়ে হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করল রাজ্য সরকার। রবিবার রাজ্য দু’ দফায় ভার্চুয়াল বৈঠক করে হাসপাতালগুলির সঙ্গে।
গুলেন বারি সিনড্রোম নিয়ে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, বৈঠকে জানতে চাওয়া হয়, গুলেন বারি সিনড্রোমে আক্রান্তের সংখ্যা কত, রোগীদের শারীরিক অবস্থা কেমন। এর পাশাপাশি হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসার পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের মতে, নার্ভ কন্ডাকশন ভেলোসিটি টেস্ট এবং সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড – এই দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ চিহ্নিত করা সম্ভব। রোগীকে সারাক্ষণ নজরে রাখতে হবে। তাকে ভর্তি করতে হবে হাসপাতালে।
গুলেন বারি সিনড্রোম হচ্ছে একটি রোগ যাতে শরীরে নিজের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি স্নায়ুতন্ত্রে দুর্বল করে এবং তার জন্য হাত পা অবশ থেকে আরম্ভ করে ধীরে ধীরে আমাদের শ্বাসনালী পর্যন্ত সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। প্রতি বছর গুলেন বারি সিনড্রোমের প্রকোপ দেখা যায়। এই রোগ কিছুটা সিজনাল বা মরশুমি। শীতকালে, এই রকম সময়ে এই রোগ বাড়ে। এ বছর বাড়াবাড়ি হচ্ছে কারণ পুনে এবং মুম্বইয়ে এই রোগটি ছড়িয়েছে।
রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে মূলত পাঁচটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রবিবারের বৈঠকে। হাসপাতালে নিউরোলজি বিভাগে অন্তত ২টি সিসিইউ বেড রাখতে হবে। পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে শিশুদের জন্য দুটি বেড রাখতে হবে। চিকিৎসার প্রোটোকল তৈরি করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া ইনট্রা ভেনাস ইউমিউনো গ্লোবিউলিন বা প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনে আক্রান্তদের সম্পর্কে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গুলেন বারি সিনড্রোম থেকে বাঁচতে তাই অবিলম্বে সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে: ঘন ঘন হাত পরিষ্কার রাখতে হবে, রাস্তার কাটা ফল, স্যালাড খাওয়া বন্ধ করতে হবে, রান্না করা খাবার খেতে হবে। উপসর্গ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।