প্রবীর চক্রবর্তী: মদন-বাণে বিদ্ধ আইপ্যাক। ভোটকুশলী সংস্থায় বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মদন মিত্র। তৃণমূলে দুর্নীতি শুরু করেছে 'ব্যাগপ্যাক'। তারাই এই পথটা খুলে গিয়েছে। এক জয়গায় ৮-১০ টা নাম ভাসিয়ে দিয়েছে। ভিন রাজ্যের লোক টিকিট পেতে ১-২ কোটি টাকা দিতে চাইছে। প্রার্থী করে দেওয়ার নামে টাকা চেয়েছে আইপ্যাক। আইপাক তৃণমূলকে প্যাকআপ করতে চায়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের কৌশল তৈরি করতে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের একটা বড় ভূমিকা ছিল বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে আইপ্যাককে নিয়ে দলে বিরোধিতাও ছিল। এনিয়ে মদন মিত্র বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে টাকার খেলার ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছিলাম। তাতে এমনভাবে খবর প্রচারিত হয়েছিল যে গোটা বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে রয়েছে। তেমনটা নয়। আমি করজোড়ে বলছি, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী নই অনুগত। আমার বুক চিরলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যাবে। আমার কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি কখনও দুঃখ পেয়ে থাকেন তাহলে তা আমাকে বললে আমি রাজনীতি ছেড়ে বসে যাব। অনেকে আমার কথা বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করছেন। আমি যেটা বলেছিলাম সেটা হল, এই গুজরাটি, মাড়োয়ারি, বাইরে থেকে কিছু লোক এসেছে। এদের হাতে কাঁচা পয়সা রয়েছে। তারা বলছে টিকিট দাও, কত টাকা লাগবে? এক কোটি, ২ কোটি টাকা! নিয়ে নাও। দেখুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বচ্ছতা একই জিনিস। হংস পাখায় কখনও দাগ লাগে না।
প্রার্থী করে দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকা নেওয়া হয়েছে? মদন মিত্র বলেন, সবটাই আইপ্যাক করেছে। আইপ্যাকই পরিস্থিতিটা তৈরি করেছে। ওরা কিছু লোকের নামে রেকমেন্ডেশন করে চলে গিয়েছে। ভোটে লড়াই করেছে আমাদের ছেলেরা। আইপ্যাকের ছেলে কোথায়? আইপ্যাক মানে প্য়াক আপ।
কথা উঠছে তৃণমূলে টাকার লেনদেন চলে। এমন অভিযোগ নিয়ে মদন মিত্র বলেন, এসব কথা শুনছি। এসব আমাদের দলে আইপ্যাকই শুরু করেছিল। ২০২১ এর আগে এসব শুরু হয়েছিল। টাকা নিয়েও নমিনেশন দেওয়া হয়নি। লোককে কাঁদতে দেখেছি। কিন্তু কিছু করা যাবে না কারণ ক্যাশে লেনদেন হয়েছে।