চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: সরস্বতী পুজো নিয়ে নজিরবিহীন রাজনৈতিক সংঘাতের ছবি দেখিয়েছে যোগেশচন্দ্র কলেজ। রবিবার সেখানে দুই বিভাগে আলাদা আলাদাভাবে পুজো হয়েছে। তাও আবার পুলিশি প্রহরায়। যা সত্যিই বেনজির। তবে এবছর আরও বেশ কয়েকটি কলেজের পুজো ঘিরে জটিলতা তৈরি হল। নদিয়ার একটি কলেজেও পুজো হল পুলিশি ঘেরাটোপে। এবারের ঘটনাস্থল নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজ। পুজোয় সংকল্প কে করবে, তা নিয়ে কলেজের দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে দ্বন্দ্বে সময়মতো পুজোই হতে পারল না! তিথি পেরিয়ে তবেই হল বাণীবন্দনা। যা নিয়ে রীতিমতো চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
পঞ্চমী তিথি ছিল সকাল প্রায় ১০টা পর্যন্ত। তা পেরিয়েই ১১টা নাগাদ পুজো হয়েছে সীতানন্দ কলেজে। তবে পুজোর পথে যে যে ঘটনা ঘটল, তা একেবারেই কাম্য ছিল না বলে জানাচ্ছেন পড়ুয়ারা। সোমবার সকাল ৯টায় সীতানন্দ কলেজে সরস্বতী পুজো হওয়ার কথা ছিল। সেইমতো পুরোহিতও এসেছিলেন। তাঁর কাছে এবিভিপি ও টিএমসিপি সদস্যরা দাবি করতে থাকেন, কলেজের পুজোয় সংকল্প করবেন দুপক্ষের প্রতিনিধিরা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে দাবি ওঠে, তাঁরাই সংকল্প করবেন। আর এবিভিপির দাবি, সংকল্পের সুযোগ দিতে হবে তাঁদের সদস্যদের। দুপক্ষের বাকবিতণ্ডায় পুজো করাই দুষ্কর হয়ে ওঠে। পুরোহিত পুজো ছেড়ে চলে যান।
দুপক্ষের মধ্যে এনিয়ে বিবাদ মেটাতে মেটাতে ঘড়ির কাঁটা পেরিয়ে যায় ১০টা। অর্থাৎ পঞ্চমী তিথি ততক্ষণে শেষ। তবে কি কলেজে এবার পুজোই হবে না? সবাই যে অঞ্জলির অপেক্ষায়। আবার ডাকা হয় পুরোহিতকে। তিনি আসেন প্রায় ১১টায়। তখন মীমাংসা হয়, এবিভিপি, টিএমসিপি ? উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরাই সংকল্প করবেন। সেই শর্তে অবশেষে বাণীবন্দনা হল সীতানন্দ কলেজে। তবে এবারের সরস্বতী পুজো নিয়ে যা ঘটল, তা সত্যিই নজিরবিহীন।