• পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সংকট এখনও কাটেনি, চিকিৎসকদের টিম পেলেন বড় সমস্যা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এখনও শারীরিক সংকট কাটেনি। এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে পরিবার এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি চিন্তিত। কারণ তাঁর যদি খারাপ কিছু ঘটে তাহলে পুরো দায় গিয়ে পড়বে সিবিআই–ইডি র উপর। আর পরিবার চিন্তিত কারণ তাঁরা আপনজনকে হারাবেন। এই আবহে সিটি স্ক্যান করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। যদিও তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টের ট্রায়ালে রাখা হয়েছে। পার্থের কিডনি এবং ফুসফুসে সমস্যা আগেই ছিল। তার সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে ক্রিয়েটিনিন, পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের মাত্রাতে গোলমাল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শারীরিক যা অবস্থা তার জন্য তাঁর খাদ্যাভ্যাসই দায়ী।

    মন্ত্রী থাকাকালীন জেলে গিয়েছেন পার্থ। তাহলে তাঁর খাদ্যাভ্যাস দায়ী থাকবে কেন?‌ তিনি তো ভাল খাবার, ফলমূল, মাছ–মাংস—সবই খেতেন। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?‌ উঠছে প্রশ্ন। চিকিৎসকদের মতে, বাজে খাদ্যাভ্যাসের জেরেই ভয়ানক ভুগছেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রতিনিধিদের মত সেরকমই। কদিন আগে মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের। তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। শারীরিক অবস্থা এখন যা তাতে সংকটমুক্ত বলা যায় না। ফুসফুসে সংক্রমণ থাকার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও বেশি। রক্তাল্পতার সমস্যাও ধরা পড়েছে। এখন মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।


    পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন সুস্থ ছিলেন তখন ভাজাভুজি বেশি খেতেন। ফাস্টফুড খেতেও বেশ ভালবাসতেন। আর সেসব থেকেই শরীরে নানা অসুখ বাঁধিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে হাইপার টেনশন ছিল পার্থের। সেটাই মারাত্মক আকার নেয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ২২ জুলাই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বারবার জামিনের আবেদন করলেও মেলেনি। অথচ তাঁর আশেপাশে যাঁরা ছিলেন সবাই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। এমনকী তিহাড় জেল থেকে অনুব্রত মণ্ডল পর্যন্ত ফিরে এসেছেন। সদ্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জামিন পাওয়ায় মনে চাপ পড়েছে পার্থের। তারপরই ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্সি জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন পার্থ।

    চিকিৎসা যত এগিয়েছে তত নানা তথ্য পেয়েছেন চিকিৎসকরা। আর এখন পার্থের চিকিৎসার যে রিপোর্ট তাঁরা হাতে পেয়েছেন তাতে বাজে খাদ্যাভ্যাসকেই দায়ী করছেন। এখন বেসরকারি হাসপাতালে পার্থের চিকিৎসা চলছে। তাই খুব যত্ন সহকারে সবটা দেখা হচ্ছে। এই বেসরকারি হাসপাতালেই পার্থের চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের একটি মাল্টি ডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৌরেন পাঁজার নেতৃত্বে এই মেডিকেল টিমে রয়েছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অনুপ খৈতান এবং নেফ্রোলজিস্ট ডাঃ প্রতীক দাস।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)