সরস্বতী পুজোর মণ্ডপের সামনে ডিজে-র আয়োজন। নাচের জন্য কাতারে কাতারে যুবক, যুবতীর ভিড়। বাধ্য হয়ে মণ্ডপ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন আয়োজকরা। ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার কালীবাড়ির সরস্বতী পুজোয়। সোমবার বেশ কিছুক্ষণের জন্য মণ্ডপটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।
গত বছরই অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে রানাঘাটের একটি দুর্গাপুজোর অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। অতীতে দেশপ্রিয় পার্কে দুর্গাপুজোর সময়ে ভিড়ের জন্য ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি অনেকের মনে আজও তাজা। কিন্তু সরস্বতী পুজোতে ভিড়ের জন্য মণ্ডপ বন্ধের ঘটনা রাজ্যে বিরল, অন্তত এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতি বছর উলুবেড়িয়ার কালীবাড়িতে ধুমধাম করে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়। চলতি বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সোমবার বিকেলে ক্লাবে বাজছিল ডিজে। বহু তরুণ-তরুণী ডিজের তালে নাচতে শুরু করেন। মণ্ডপের চারপাশে খোলা মাঠে তিলধারণের জায়গা ছিল না। সোমবার দুপুরের পর দশনার্থীদের ঢল এতটাই বেড়ে যায় যে কালীবাড়িতে ঢোকা বা বার হওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। অভিযোগ, পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয় যে তা সামাল দিতে নামাতে হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। এরপরেই ক্লাবের পক্ষ থেকে মণ্ডপটি দশনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জর্জ অ্যালেন জন, উলুবেড়িয়ার এসডিপিও শুভম যাদব।
ভিড় এড়াতে কালীবাড়িতে থাকা তরুণ-তরুণীদের অন্য রাস্তা দিয়ে বার করে দেয় পুলিশ। এই ক্লাবের সদস্য তথা উলুবেড়িয়া পুরসভার কাউন্সিলার রঘুনাথ দে অবশ্য দাবি করেছেন, কোনও ডিজে ছিল না। বরং মাইক ছিল। অনেক মানুষ একসঙ্গে জড়ো হয়ে যাওয়ার কারণে পদপিষ্টের আশঙ্কায় তৈরি হয়েছিল। ফলে কালীবাড়ির গেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে তা খুলে দেওয়া হবে বলে জানান ক্লাব কর্তৃপক্ষ।