সরস্বতী পুজোর দিনে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটের একটি স্কুলের সামনে ‘ইভটিজ়িং’-এর অভিযোগ। প্রতিবাদ করায় প্রহৃত ছাত্রীর বাবা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার তীব্র উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার রামরাজাতলায়। গুরুতর জখম ছাত্রীর বাবাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সরস্বতী পুজোর দিনে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ চ্যাটার্জিহাট এলাকায় একটি গার্লস স্কুলের ছাত্রী বাবার সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছিল। সেই সময়ে স্কুটি আরোহী তিন ছাত্রীকে উত্যক্ত করছিল। তারা কুকথা বলছিল বলে অভিযোগ।
মেয়ের উদ্দেশে তারা কটূক্তি করছে দেখে প্রতিবাদ করেন বাবা। অভিযোগ, সেই সময়েই ওই যুবকরা ছাত্রীর বাবাকে মারধর করে এবং মাথা ফাটিয়ে দেয়। এই দৃশ্য দেখে প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন স্থানীয় অনেকেই। এলাকার লোকজন অভিযুক্তদের ২ জনকে মারধরও করে।
একজন ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ওই ২ যুবককে আটক করে। পলাতক অভিযুক্তের খোঁজ করছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুল চত্বরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আহত ব্যক্তিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। স্কুলের সামনে মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। সরস্বতী পুজোর দিনে এই ঘটনায় থমথমে গোটা এলাকা। ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে শোনা যায় এলাকার একাধিক বাসিন্দাকে।
এক অভিভাবক বলেন, ‘পুজোর দিনে ছেলেমেয়েরা মজা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেখানে এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত অপ্রীতিকর। পুলিশ প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করুক এই ধরনের ঘটনা রুখতে।