স্কুলের একমাত্র শিক্ষক অবসর নিয়েছিলেন কয়েকদিন আগে। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দকোনার ১ নম্বর ব্লকের নিশ্চিন্তপুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে জনা ২৫-এক পড়ুয়া থাকলেও কে তাদের পড়াবেন? তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। আর এই দোলাচলের মধ্যেও স্কুলে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করলেন গ্রামের মানুষরাই। আর গ্রামবাসীর এই আন্তরিকতায় চোখে জল প্রাক্তন শিক্ষকের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ২০০০ সালে একজন সহায়িকা এবং একজন শিক্ষককে নিয়ে ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছিল। দু'বছর আগে সহায়িকা অবসর নেন। এরপর থেকে স্কুলের যাবতীয় ভার একা হাতে সামলাচ্ছিলেন একমাত্র শিক্ষক তরুণ পাল। কিন্তু কয়েকদিন আগে তিনিও অবসর নিয়েছেন। বর্তমানে স্কুলটি শিক্ষকহীন।
ফলে এ স্কুলটি আদৌ চালানো যাবে কি না, তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু এই অবস্থাতেও স্কুলটিতে সোমবার ধুমধাম করে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করলেন গ্রামের বাসিন্দারা। আর এই আন্তরিকতায় চোখে জল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তরুণ পালের।
গ্রামবাসীদের দাবি, ওই স্কুলে সমস্ত পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু শিক্ষক নেই। সরস্বতী পুজোর হলেও স্কুলের ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কী হবে? সেই নিয়ে অন্ধকারে স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর কথায়, শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটি গ্রামের খুব কাছাকাছি জায়গায় অবস্থিত। অন্যান্য স্কুলগুলি অনেকটাই দূরে। আর সেই কারণে স্কুলটি চালু থাকুক, এমনটা তাঁরা চাইছেন। আর সেই জন্য শিক্ষক নিয়োগের আবেদনও জানানো হয়েছে তাঁদের পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিশেষ পদক্ষেপ ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ সম্ভব নয়। তবে ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অন্য স্কুলে পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা হবে।’