• গোটা সেদ্ধ তো শুনেছেন, জানেন কী কী থাকে এই খাবারে? কেনইবা সরস্বতী পুজোর পরেরদিন খাওয়া হয়?...
    আজকাল | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: গোটা ছয়েক সবজি, মটরশুঁটি, কলাইয়ের ডাল, কুল আর শিস পালং। এগুলো স্রেফ সর্ষের তেল, নুন ও সামান্য চিনি দিয়ে ফুটিয়ে নিলেই তৈরি শীতের অন্যতম সেরা খাবার 'গোটা সিদ্ধ'। যাকে আবার কেউ কেউ 'সিজনে'ও বলে থাকেন। সরস্বতী পুজোর পরেরদিন যা খেয়ে থাকেন গ্রাম বাংলার বাসিন্দারা। 

    মঙ্গলবার সরস্বতী পুজোর পরেরদিন বর্ধমান-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অরন্ধন। এইদিনে গোটা সিদ্ধ, পান্তা ভাত এবং মাছের তৈরি টক খাওয়ার রীতি এখনও বহু পরিবারে রয়ে গিয়েছে। এর পিছনে সুদূর অতীতকালের প্রথা যেমন রয়ে গিয়েছে তেমনি রয়েছে স্বাস্থ্য সচেতনতা। বিশ্বাস করা হয়, সরস্বতী পুজোর পর শীত বিদায় নেয় এবং বসন্তের সূচনা হয়। এই ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেকেই জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হন। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গোটা সিদ্ধ খাওয়ার রীতি প্রচলিত। অনেক গ্রাম এবং ছোট শহরে সরস্বতী পুজোর পরেরদিন গোটা সিদ্ধ খাওয়ার চল প্রচলিত আছে। পুজোর দিনই রান্না করা হয় এই খাবার। 

    আবার সরস্বতী পুজোর পরেরদিন বা ষষ্ঠী তিথিতে বহু বাঙালি পালন করেন শীতল ষষ্ঠী। সন্তানের মঙ্গল কামনায় মায়েরা এই ব্রত পালন করেন। যারা এই ব্রত পালন করেন তাঁরা এইদিনে উনুন জ্বালান না। প্রথা মেনে এদিন শিল-নোড়াকেও বিশ্রাম দেওয়া হয় এবং তার পুজো করা হয়। তাই আগেরদিন অর্থাৎ সরস্বতী পুজোর দিনেই রান্না করা হয় গোটা সিদ্ধ। যা পান্তা ভাত ও টক দই দিয়েও কেউ কেউ পরিবেশন করেন। আর এটা শুধু ব্রত পালনকারী মায়েরাই খান না, পরিবারের অন্য সদস্যদের পাতেও পরিবেশন করা হয়। যা খেয়ে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরকে লড়াই করতে প্রস্তুত করেন গ্রাম বাংলার আমজনতা।
  • Link to this news (আজকাল)