এবার এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা চূড়ান্ত হয়নি। তবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিকরা দাবি করেছেন, এবারে সাড়ে পাঁচ লক্ষও পেরোচ্ছে না পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা পৌঁছতে পারে পাঁচ লক্ষ ৩০ হাজারের কাছাকাছি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা নিয়ে বিস্তারিত ঘোষণা করতে পারে সংসদ।
২০২৩ সালে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণদের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যাটা এত কম। ২০২৩ সালে প্রায় ৫ লক্ষ ৭০ হাজার পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। বলা বাহুল্য, সংখ্যাটা মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার নিরিখে যথেষ্টই কম। সেই কারণে ২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতে এর প্রভাব পড়ল। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় গতবারের তুলনায় অনেকটাই কম পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা। আগামী ৩ মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে ১৮ মার্চ পর্যন্ত।
এর আগে শুধুমাত্র স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালাত সংসদ। এবার প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করা হবে। পাশাপাশি এ বছর থেকেই উচ্চ মাধ্যমিকের প্রত্যেকটি বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংসদের তরফে পরীক্ষার হলে ছাত্রছাত্রীদের সামনেই খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আলাদা করে প্রধান শিক্ষকের ঘর বা অন্য কোথাও প্রশ্ন পত্র খোলা যাবে না। আগামী ৩ মার্চ থেকে শুরু হবে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। শেষ হবে ১৮ মার্চ।
এবার টুকলি রুখতেও কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে সংসদ। মোবাইল নিয়ে অথবা টোকাটুকি করতে গিয়ে ধরা পড়লে ওই পরীক্ষার্থীর সেই বছরের পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা স্বচ্ছভাবে পরিচালনার জন্য আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংসদের প্রকাশ করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রত্যেক ঘরে দুই জন করে পর্যবেক্ষককে রাখতেই হবে। প্রতি ২৫ জন পরীক্ষার্থীর জন্য থাকবেন একজন করে পর্যবেক্ষক। কোনও ঘরে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০–এর বেশি হলে সেখানে তিন জন পর্যবেক্ষককে রাখতে হবে।