• 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মর্মাহত হয়েছেন', দলের কাছে এবার ক্ষমাপ্রার্থী মদন!
    ২৪ ঘন্টা | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একের এক বিস্ফোরক মন্তব্যে শিরোনামে মদন মিত্র! তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির সুব্রত বক্সিকে চিঠি দিয়ে এবার ক্ষমা চাইলেন কামারহাটি তৃণমূল বিধায়ক। চিঠিতে উল্লেখ, 'আমাদের দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আমাদের সকলে দলনেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মর্মাহত হয়েছেন। সেজন্য আমি লিখিতভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি এবং দলকে অনুরোধ করছি আমায় ভুল না বুঝে ক্ষমা করার জন্য'।

    ঘটনাটি ঠিক কী? একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলে, দলের ভোট কৌশল তৈরিতে বড় ভূমিকা ছিল প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকে। সেই আবার শাসকদলের এই ভোট কৌশলী সংস্থা নিয়ে বিরোধিতাও ছিল। মদন মিত্রের দাবি, 'তৃণমূল দলে যদি কেউ দুর্নীতি শুরু করে থাকে, সেটা এই হাসপ্যাক, ব্যাকপ্যাকের মধ্যে থেকে, বিভিন্ন এজেন্সির মধ্য থেকে হয়েছে। তারাই এই পদটা খুলে দিয়েছে। এক একটা জায়গায় আটটা-দশটা নাম ভাসিয়ে দিয়ে, তোমায় দেব, তোমায় দেব, তুমি টাকা দাও'!

    মদনের আরও বক্তব্য, 'অভিষেক প্রচুর খেটেছেন। তার মানে এই নয় যে শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খেটেছেন। বড় বড় বিজনেস হাউসে দিয়ে দেখ, তাঁদের ছেলে, ভাইপো, মেয়ে, তাঁরা অল্প বয়সে কেউ ভাইস চেয়ারম্যান, কেউ প্লানিং ডিরেক্টর, কেউ ফিনান্স ডিরেক্টর হয়ে গিয়েছে। ভালো করে কাজ তো ভালো। তার মানে এই নয় যে, শুধু অভিষেক কাজ করছে, পার্টিটা কাজ করছে'। সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন, যদি আমার কথার কোনও রূপক অর্থে ব্যবহার করে, কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্ররোচিত করতে যান। তাহলে তাঁরা জেনেশুনে বদমাইসি করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আমি কিন্তু কোর্টে মামলা করব। কারণ, আমার কথায় কোনও জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে কিছু বলা নেই'। দিনের শেষে সেই মদন মিত্রই দলের কাছে ক্ষমা চাইলেন।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)