• 'আইপ্যাকের ১০ শতাংশ কর্মী ব্যক্তিগত স্বার্থে...', মদনের সুর এবার হুমায়ুনের গলায়ও!
    ২৪ ঘন্টা | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'আইপ্যাকের ১০ শতাংশ কর্মী ব্যক্তিগত স্বার্থে তৃণমূলকে ব্যবহার করছে'। মদনের সুর এবার দলের আর এক বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের গলায়ও! তাঁর দাবি, '২০২৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৯০ শতাংশ পঞ্চায়েতের আসন, জেলা পরিষদ আসন টাকার  বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে'।

    মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন। তিনি বলেন, 'দলের মধ্যে শতকরা ১০ শতাংশ ব্যক্তি তৃণমূলের পদ এবং বিভিন্ন স্তরে জনপ্রতিনিধি হয়ে,  তাঁরা  ব্যক্তিগত স্বার্থে দলকে এবং তার পদকে ব্যবহার করছে, আইপ্যাকের সেটাও ১০ শতাংশ পড়ে। জলের মতো পরিষ্কার, আমি গোটা রাজ্যের কথা বলতে পারব না, গোটা জেলায় কোথায় কী হয়েছে বলতে পারব না। কিন্তু ২০২৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৯০ শতাংশ পঞ্চায়েতের আসন, জেলা পরিষদ আসন টাকার  বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে'।

    ঘটনাটি ঠিক কী? একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলে, দলের ভোট কৌশল তৈরিতে বড় ভূমিকা ছিল প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকে। আবার শাসকদলের এই ভোট কৌশলী সংস্থা নিয়ে বিরোধিতাও ছিল। মদন মিত্রের দাবি, 'তৃণমূল দলে যদি কেউ দুর্নীতি শুরু করে থাকে, সেটা এই হাসপ্যাক, ব্যাকপ্যাকের মধ্যে থেকে, বিভিন্ন এজেন্সির মধ্য থেকে হয়েছে। তারাই এই পদটা খুলে দিয়েছে। এক একটা জায়গায় আটটা-দশটা নাম ভাসিয়ে দিয়ে, তোমায় দেব, তোমায় দেব, তুমি টাকা দাও'!

    কামারহাটি বিধায়কের আরও বক্তব্য, 'আমি তৃণমূল কংগ্রেসে এই টাকা খেলার ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছিলাম। তাতে এমনভাবে খবর প্রচারিত হয়েছিল মনে হয়েছিল যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন।  না, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী নয়, অনুগত। আমার কথায় যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও দুঃখ পেয়ে থাকেন, আমায় বললে রাজনীতি ছেড়ে চিরকালের জন্য বাড়িতে বসে যাব'। সঙ্গে ব্যাখ্যা, 'আমি যেটা বলেছিলাম, এখন গুজরাটি, মারোয়ারি বাইরে থেকে কিছু লোক  এসেছে। তারা বলছে, আমাদের টিকিট দিয়ে দে, কত পয়সা লাগবে? ১ লাখ লাগবে, ২ কোটি লাগবে'?  প্রার্থী করে দেওয়ার নামে টাকা চাওয়া হয়েছে বা টাকা নেওয়া হয়েছে? মদনের সোজাসাপ্টা জবাব, 'সবই আইপ্যাক করেছে। আইপ্যাকই পরিস্থিতিটা তৈরি করেছে'।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)