অরূপ বসাক, মালবাজার: শনিবার দিনভর গ্রামবাসীদের তাড়া, কখনও আবার চা বাগানের ব্লেড তারে আটকে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল বুনো দাঁতাল। লোকালয়ে বেরিয়ে পড়া পুরনো বয়স্ক দাঁতালটিকে নিয়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় ক্রান্তি ও মাল ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায়। তাকে ঠেকাতে জেসিবি ব্যবহারের ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। এর প্রতিবাদে সোচ্চার পরিবেশপ্রেমীরা। আটক জেসিবি। চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযোগ, রবিবার দাঁতালটিকে উত্যক্ত করা হয়। স্থানীয়দের একাংশ তার লেজ ধরে টানাটানি করে। জেসিবি দিয়ে তাকে তাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। এর প্রতিবাদে রবিবার বন্যপ্রাণ বিভাগের মালবাজার রেঞ্জের আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা করে বেশ কিছু পরিবেশপ্রেমী। স্মারকলিপিও জমা করা হয়। পরিবেশপ্রেমী তানিয়া হক, স্বরূপ মিত্র প্রমুখের প্রশ্ন, বন্যপ্রাণীর উপরে ট্রমাটিক আক্রমণ এবং জেসিবি ব্যবহার করে উত্যক্ত করার ঘটনায় বনদপ্তর তরফে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হল না? এরপরই জেসিবিটি আটক করে চালককে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের আপালচাঁদ জঙ্গল থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল হাতি প্রথমে ক্রান্তি ব্লকের এলাকা ও পরে মেচপাড়া হয়ে চীল নদী পেরিয়ে পশ্চিম ডামডিম এলাকায় প্রবেশ করে। লোকালয়ে হাতি বেরিয়ে পড়ার খবর পেতেই বনদপ্তর তৎপরতা শুরু করে। এদিকে অনেক সময় হাতিটির খুব কাছে লোকজন চলে গেলেও প্রথমদিকে কিছুই করেনি সে। হাতিটির গতিবিধিও অনেকের কাছে অস্বাভাবিক লাগে। এদিকে হাতিটি কাউকে কিছু না করলেও বহু মানুষ তাকে উত্যক্ত করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এক সময় হাতিটি মেজাজ হারিয়ে বেদগুড়ি চা বাগানের সেনপাড়ায় একটি নজর মিনারে হামলা করে। সেই নজর মিনারে বেশ কিছু স্থানীয় তরুণ ছিলেন। নজর মিনার থেকে লাফ দিয়ে প্রাণে বাঁচেন তারা।