অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: সরস্বতী পুজোয় স্কুলের ইভটিজিং! ছাত্রীর বাবা প্রতিবাদ করায় বেধড়ক মারধর করা হল তাঁকে। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। সোমবার দুপুরে হাওড়ার রামরাজাতলার ঘটনায় ইতিমধ্য়ে দুই নাবালককে আটক করা হয়েছে। আরেকজন পলাতক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পরিবার ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে বাবার সঙ্গে সরস্বতী পুজোয় স্কুলে ঠাকুর দেখতে এসেছিল দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। বাবার সামনেই তিন কিশোর ওই ছাত্রীকে ইভটিজিং করে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করলে বাবার মাথা মেরে ফাটিয়ে দিল বছর সতেরোর ওই তিন কিশোর। জানা গিয়েছে, আহত অভিভাবক জানতেন যে ওই তিন কিশোর গত কিছুদিন ধরেই তাঁর মেয়েকে উত্যক্ত করছে। তাই এদিন মেয়ে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে এসেছিলেন। তারপরই রক্তারক্তি কাণ্ড।
‘ইভটিজিং’-এর প্রতিবাদ করতেই তিন কিশোর মিলে হাতের বালা দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। উদ্ধাপ করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে অভিযুক্তের মধ্যে ২ জনকে একেবারে হাতেনাতে ধরে ফেলে স্কুলে আসা অন্যান্য অভিভাবক ও স্থানীয়রা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেয়। চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ ২ কিশোরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আরেকজন পলাতক। এই ঘটনায় সন্ধে পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিন ঘটনাস্থলে থাকা টুসি মণ্ডল নামে এক অভিভাবিকা বললেন, ‘‘যে ভাবে মেয়েটির বাবাকে মেরে রক্তাক্ত করে দিল তা দেখে ভয়ে শিউরে উঠেছি। স্কুলের সামনে এমন ঘটনা ঘটায় আমরা আতঙ্কিত। আমরা চাই ওই আক্রমণকারীদের পুলিশ কঠোর শাস্তি দিক।’’ এই প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘আক্রমণকারীরা সকলেই কিশোর। দু’জনকে আটক করা হয়েছে। আর একজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’