• সাঁতরাগাছি-খড়্গপুর চতুর্থ লাইন নিয়ে আশাবাদী রেলকর্তারা
    এই সময় | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সুমন ঘোষ, খড়্গপুর

    সাঁতরাগাছি থেকে খড়্গপুর পর্য‌ন্ত চতুর্থ লাইনের কাজ কি শুরু হবে এ বার? সোমবার সংসদে মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বিস্তারিত রেল বাজেট নিয়ে বলার পরেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। খড়্গপুর ডিভিশনের ডিআরএম কে আর চৌধুরী আশাবাদী, এই বছরেই হয়তো সাঁতরাগাছি থেকে খড়্গপুর পর্যন্ত নতুন চতুর্থ লাইনের ডিপিআর (ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট) অনুমোদন পেতে পারে। পূর্ব ভারতের অন্যতম ব্যস্ত রুট এটি।

    দক্ষিণ–পূর্ব রেলের বহু গুরুত্বপর্ণ যাত্রিবাহী ট্রেন ছাড়াও নিয়মিত মালগাড়ি চলে এই রুটে। এখানে সমান্তরাল তিনটি লাইন রয়েছে। সেই লাইন দিয়েই যাবতীয় এক্সপ্রেস ট্রেন, মালগাড়ি যায়।

    ফলে, দুর্ঘটনা এড়াতে দু’টি ট্রেনের মাঝের সময় বাড়িয়ে রাখতে হয়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চতুর্থ লাইন শুরু হলে সেই সমস্যা অনেকটাই কমবে। অনেক বেশি ট্রেন ওই রুটে যাতায়াত করতে পারবে। স্টেশনের মুখে অপেক্ষার সময়েও কমবে। পাশাপাশি ওই রুটে নতুন ট্রেনও চালু করা যাবে। সোমবার খড়্গপুর ডিআরএম অফিসে সরাসরি বাজেট শোনার জন্য জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে ডিআরএম এবং অন্যান্য আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

    এ দিন রেল বাজেট পেশ করার পরে সাংবাদিক বৈঠকে দুই মেদিনীপুরের জন্য দু’টি ঘোষণা শোনা গিয়েছে রেলমন্ত্রীর মুখে। এক, তিনি জানিয়েছেন, দিঘা–জলেশ্বর রুটে ট্রেন চলবে। এখন কলকাতা থেকে দিঘা পর্যন্ত রেললাইন রয়েছে। দুই, খড়্গপুর থেকে আদিত্যপুর (ঝাড়খণ্ড) রুটে প্রস্তাবিত ১৩২ কিলোমিটারের মধ্যে বকেয়া ৪২ কিলোমিটারের কাজ শেষ করা হবে।

    ২০১৫–১৬–তে এই কাজে ১৩১২ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছিল। এই রুটে ১৯টি প্রস্তাবিত ওভারব্রিজের মধ্যে ১৭টির কাজই শেষ হয়ে গিয়েছে বলে রেল সূত্রের খবর। রেলকর্তাদের দাবি, এই রুটের পুরোটা চালু হলে ট্রেনের গতি বাড়বে।

    এ দিন বাজেট শেষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে খড়্গপুরের ডিআরএম জানিয়েছেন, এ বার সামগ্রিক ভাবে রেল খাতে পশ্চিমবঙ্গের বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা। এক দশক আগে ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের জন্য প্রতি বছর রেলের বরাদ্দ ছিল মাত্র ৪৩৮০ কোটি টাকা। যার অর্থ, দশ বছরে রেল খাতে রাজ্যের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে তিনগুণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, তুলনায় এই বৃদ্ধি অনেকটাই কম।

    কারণ, ওই একই সময়ের তুলনায় এ বছরে ওডিশা পেয়েছে প্রায় ১৩ গুণ টাকা। ২০০৯-১৪য় ওডিশা পেয়েছিল ৮৩৮ কোটি টাকা। এ বার পেয়েছে ১০ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা। ঝাড়খণ্ডও পেয়েছে প্রায় ১৩ গুণ বেশি টাকা। ২০০৯-১৪য় ঝাড়খণ্ড পেয়েছিল ৫৫৭ কোটি টাকা। এ বার পেয়েছে ৭ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা। ডিআরএম জানিয়েছেন, ভিড় এড়াতেই সাঁতরাগাছি ও শালিমারকে বিকল্প টার্মিনাল স্টেশন হিসেবে উন্নীত করার কাজ চলছে। এ ছাড়াও ২১টি স্টেশনকে ‘অমৃত স্টেশন’ হিসেবে উন্নীত করা হবে। যেখানে নতুন স্টেশন বিল্ডিং বানানো হবে। প্রতিটি স্টেশনের সামনের অংশগুলি সম্প্রসারণ করা হবে।

  • Link to this news (এই সময়)