সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: সরস্বতী পুজো না করায় সোমবার বিষ্ণুপুরের যমুনাবাঁধ কলোনির প্রাইমারি স্কুলে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখান। নিজেদের স্কুলে ঠাকুর দেখার জন্য খুদে পড়ুয়ারা সেজে গুজে আসে। কিন্তু, স্কুল তালাবন্ধ দেখে তারা বেশ হতাশ হয়। এনিয়ে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফোন করে কৈফিয়তও চান। তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্কুলের প্রতি কোনও দায়িত্ব নেই। প্রতিবছর বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো হয়। কিন্তু, এবার তার আয়োজন হল না।
যমুনাবাঁধ কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাসুদেব শিকারি বলেন, ২০২৪ সালে সহকারী শিক্ষিকা অবসর নেওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ে আমি একমাত্র শিক্ষক রয়েছি। আমার একার পক্ষে পুজোর যাবতীয় ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তাছাড়া আমার শরীর খারাপ থাকার জন্য আমি বিদ্যালয়ে যাইনি। বিক্ষোভকারীরা বলেন, প্রতিবছর আমাদের বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো হয়। আগে একজন দিদিমণি ছিলেন। তাঁর উদ্যোগে ভালোভাবে পুজো হতো। পড়ুয়ারা আনন্দ করত। এবারও পুজো হবে মনে করে আমাদের ছেলে মেয়েদের সাজিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠাই। কেউ কেউ অঞ্জলি দেবে বলে চাল পয়সাও নিয়ে যায়। কিন্তু, বিদ্যালয় তালাবন্ধ দেখে ওরা কাঁদতে কাঁদতে ফিরে আসে। তারপরেই আমরা প্রধান শিক্ষককে ফোন করি। কিন্তু, তিনি আমাদের বলেন, পুজোর খরচ চালানোর মতো কোনও ফান্ড নেই। আমরা তাঁকে এও বলেছি, দরকার হলে আমরা চাঁদা দিতাম। তবুও তিনি পুজো কেন বন্ধ করলেন জিজ্ঞাসা করায় তিনি কোনও সদুত্তর দেননি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও বিদ্যালয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে সতর্কও করা হয়েছে। কিন্তু, তার পরেও বিদ্যালয় এবং পড়ুয়াদের প্রতি কোনও দায় দায়িত্ব নেই।
এদিন বিক্ষোভ দেখাতে আসা মামনি দে, আশা দে, অভিজিৎ ঘোষ বলেন, বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজোর চল বহু বছর ধরে হয়ে আসছে। কিন্তু, এবছর হঠাৎ পুজো বন্ধ করা হয়েছে। সেটা আমরা আগে জানতাম না। সেই জন্য ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাই। ওরা ফিরে এসে জানায় বিদ্যালয়ে পুজো হয়নি। তারপরেই আমরা একজোট হয়ে বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাতে এসেছি। প্রধান শিক্ষককে ফোন করা হলেও তিনি বিদ্যালয়ে আসেননি। -নিজস্ব চিত্র