• উদ্বোধনের পর সামগ্রীর দাম খতিয়ে দেখলেন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র
    বর্তমান | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: সোমবার গঙ্গারামপুরে সৃষ্টিশ্রী মেলা উদ্বোধনের পর মেলা ঘুরে কাঠের হস্তশিল্পের সঠিক দাম নেওয়া হচ্ছে কি না সরজমিনে দেখলেন ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার স্বনির্ভর দলের মহিলাদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বনির্ভর করতে সৃষ্টিশ্রী মেলার আসর বসেছে গঙ্গারামপুর ফুটবল মাঠে। মেলা চলবে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পাঁচ দিনের মেলায় থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর। এদিন গঙ্গারামপুর স্টেডিয়াম মাঠ থেকে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা শোভাযাত্রা নিয়ে পৌঁছন গঙ্গারামপুর ফুটবল মাঠে। মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র প্রদীপ জ্বালিয়ে মেলার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা সহ মহকুমা ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। 


    মূলত, পিছিয়ে পড়া মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে পাঁচ দিনের এই মেলার আয়জন করা হয়েছে। মেলায় মোট ৬২টি স্টলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাদের বিভিন্ন প্রকারের হাতের তৈরি পণ্য বিক্রি করে। মেলায় কাঠের তৈরি হস্তশিল্প, ধোকড়া, বাঁশের তৈরি গৃহসজ্জা, শীতের পোশাক থেকে  মহিলাদের তৈরি জামাকাপড়, জৈব সারে উৎপন্ন শাকসব্জি, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিখ্যাত শম্পা মাসুরির চাল, মেলার স্টলগুলিতে স্থান পায়। জেলার প্রায় আড়াই লক্ষ মহিলা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হবে বলে আশা করছে জেলা প্রশাসন। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে স্বনির্ভর দলের মুখরোচক খাবারের দোকানের পসরা সেজে উঠেছে। পিঠে পুলি থেকে স্পাইসি খাবার তৈরি হচ্ছে গরম গরম। পাঁচ দিনে থাকছে স্থানীয় ও বহিরাগত শিল্পীদের দিয়ে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আসর। মেলা উদ্বোধনের পর জেলাশাসককে সঙ্গে নিয়ে স্বনির্ভর দলের মহিলাদের হাতের কাজের স্টল ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। স্টলে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী। মন্ত্রী এক কাঠের হস্তশিল্পের তৈরি শোপিসের দাম জিজ্ঞেস করেন। দাম শুনেই আঁতকে ওঠেন মন্ত্রী। স্টলের বিক্রেতাকে দাম নিয়ে পরামর্শ দিতে দেখা গেল ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রীকে। মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, আমাদের জেলায় সৃষ্টিশ্রী মেলার মাধ্যমে জেলার স্বনির্ভর দলের মহিলারা আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হবে। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেটাই চান। মেলা ঘুরে দেখেছি, প্রত্যেকটি স্টলে খুব ভালো আয়োজন। আমার দপ্তরের কাজটাও দেখে নিলাম নিজেই। মেলায় এসে ক্রেতারা সঠিক দামে জিনিসপত্র কিনতে পারছেন কি না তা দেখেছি। আমাদের উদ্দেশ্য সাধ্যের মধ্যে জিনিসের দাম রাখা যাতে সকলে কিনতে পারে, সঙ্গে সঙ্গে মেলার বিক্রিও বাড়ে। মেলার স্টলগুলিতে নিজে গিয়ে পরামর্শ দিয়েছি। 


    এমনকিছু হাতের কাজের আইটেম ছিল আকাশছোঁয়া, সাধারণ মানুষ যা কিনিতে পারবেন না। মেলার সাফল্য কামনা করি।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)