• রোগী কম, যোগাযোগ ব্যবস্থাকে দূষছে তপসিখাতা আয়ুষ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
    বর্তমান | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: নামে আয়ুষ হাসপাতাল। এগারো বছর আগে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে কর্পোরেট ধাঁচে ঝাঁ চকচকে আয়ুষ হাসপাতালটি গড়ে উঠেছিল। রোগী ও চিকিৎসকের অভাবে ধুঁকছে আলিপুরদুয়ারের তপসিখাতা আয়ুষ হাসপাতালটি। সেঅর্থে রোগী না আসার কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের দাবি, হাসপাতালে আসার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত নয়। 


    আয়ুর্বেদ ও হোমিওপ্যাথি দুই বিভাগ মিলিয়ে তপসিখাতা আয়ুষ হাসপাতালে চিকিৎসকের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১০টি। সেখানে এখন চিকিৎসক মাত্র ছ’জন। নার্সের অনুমোদিত পদ ১২টি। আছেন মাত্র চারজন। নৈশপ্রহরীর পদ সাতটি। আছেন তিনজন। 


    আয়ুষ হাসপাতালে রোগী না হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ এখানে আসার গণ পরিবহণ সমস্যা। তপসিখাতা বাজারে রাজ্য সড়ক থেকে তিন কিমি ভিতরে গ্রামের দিকে হাসপাতালটি। পাকা রাস্তা হলেও বাস, অটো চলে না। মূলত যোগাযোগ সমস্যার কারণেই রোগী বাড়ছে না আয়ুষ হাসপাতালে। সেই জন্য এখন আয়ুষ হাসপাতালের আউটডোরে দৈনিক দু’শো রোগীও হয় না। কর্তৃপক্ষের ধারণা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকলে আউটডোরে দৈনিক রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যেত। 


    আয়ুষের আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ উদয় দাস বলেন, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় একবছর আগে এলাকায় বাস বা অটো রুট চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল জেলা প্রশাসনকে। কিন্তু আজও তা চালু হয়নি। তপসিখাতা বাজারে রাজ্য সড়ক থেকে হাসপাতালটির দূরত্ব তিন কিমি। রুট চালু হলে তপসিখাতা বাজার থেকে আয়ুষ হাসপাতাল ছুঁয়ে বাস বা অটো ঘরঘরিয়া বাজারে রাজ্য সড়কে উঠতে পারে। আমাদের ধারণা অটো বা বাসের রুট চালু হলে কয়েকগুণ বেশি রোগী পাওয়া যাবে। 


    বাস, অটো না থাকায় টোটো ভাড়া করে আলিপুরদুয়ার তো বটেই লাগোয়া কোচবিহার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীরা আয়ুষ হাসপাতালে আসে চিকিৎসা করাতে। তপসিখাতা আয়ুষ হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডাঃ অনির্বাণ দত্ত বলেন, গণ পরিবহণ না থাকাটাই রোগী কমের কারণ বলে মনে হচ্ছে। কেউ টোটো ভাড়া নিয়ে এলে তাঁকে সেই টোটোতেই ফিরতে হয়। এতে তাঁদের যাতায়াতের খরচ বেশি হয়। 


    আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক দেবব্রত রায় বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত প্রস্তাব দিলে তপসিখাতা আয়ুষ হাসপাতাল পর্যন্ত যাওয়ার বাস, অটো রুটের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই ভাবা হবে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)