• রেলের জমিতে বাংলা আবাসের ঘর তৈরির অনুমোদন! বিতর্ক
    বর্তমান | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: রেলের জমিতে বসবাসকারীদের বাংলা আবাসের ঘর তৈরির অনুমোদন! এই ঘটনায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে আলিপুরদুয়ারে। আলিপুরদুয়ার জংশনে রেলের জমিতে বসবাসকারী ৪০টি পরিবারকে আবাসের ঘর তৈরির জন্য এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরিবারগুলি আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে কাঠামোও তৈরি করে ফেলেছে। সোমবার রেল বুলডোজার নিয়ে ওই কাঠামো ভাঙতে গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। 


    রেলের প্রশ্ন, আমাদের জমিতে কীভাবে বাংলা আবাসের ঘর তৈরির অনুমোদন দেওয়া যায়? এরপরেই এদিন রেল বুলডোজার নিয়ে পরিবারগুলির আবাসের কাঠামো ভাঙতে যায়। যদিও জনতার অনুরোধে এদিন রেল কাঠামো ভাঙেনি। তবে রেল এদিন পরিবারগুলিকে নোটিস দিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে কাঠামো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়ে যায়। 


    প্রশ্ন উঠেছে, রেলের জমি হওয়ার পরেও কেন ঘরের অনুমোদন দেওয়ার আগে বিষয়টি নজর এড়িয়ে গেল গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের? যদিও স্থানীয় বাসিন্দা তথা আলিপুরদুয়ার-১ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তপেন কর বলেন, এই ঘটনায় অনিয়ম বা দুর্নীতির কোনও বিষয়ই নেই। বিষয়টি নিয়ে অযথাই হইচই করা হচ্ছে। আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক দেবব্রত রায় বলেন,কেন এরকম হল পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


    ঠেলা চালক রাজু রায় বলেন, আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে কংক্রিটের ঘরের কাঠামো বানিয়েছি। এখন রেল বলছে কংক্রিটের কাঠামো ভেঙে ফেলতে হবে। পরিবার নিয়ে কোথায় যাব বুঝতে পারছি না। আরএক উপভোক্তা দীপিকা রায় বলেন, রেল বলছে ওদের জমিতে পাকা ঘর বানানো যাবে না। কাঠামো ভেঙে ফেলতে হবে। এখন কি করব কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। বিষয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে জানিয়েছি। 


    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার অমরজিৎ গৌতম বলেন, রেলের জমিতে সরকারি ঘর কীভাবে তৈরি হয় আমাদের তা বোধগম্য হচ্ছে না। আইনত আমরা তা করতে দিতে পারি না। সেজন্যই পাকা কাঠামো ভেঙে ফেলতে নোটিস দেওয়া হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)