ইসলামপুরের কমলাগাঁও সুজালিতে তৃণমূলের দু’জন কনভেনর, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকট
বর্তমান | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, ইসলামপুর: ইসলামপুরের কমলাগাঁও সুজালি অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের দু’জন অঞ্চল কনভেনর। দলের ইসলামপুর ব্লক সভাপতি জাকির হুসেন জিয়াউল রহমানকে কনভেনর হিসেবে নিযোগ করেছেন। অন্যদিকে চোপড়ার দলীয় বিধায়ক হামিদুল রহমান নিয়োগ করেছেন মহম্মদ মইনুদ্দিনকে। এতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। উল্লেখ্য, কমলাগাঁও সুজালির ইসলামপুর ব্লকের অধীনে হলেও বিধানসভার দিক থেকে চোপড়া কেন্দ্রের অন্তর্গত। এর ফলে তৃণমূলের ইসলামপুর ও চোপড়া লবি সংগঠনের রাশ নিজেদের হাতে রাখার প্রয়াসের ফলেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
জাকির হুসেন বলেন, সুজালি অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে জানিয়েছিল। তাদের সিদ্ধান্ত অনুসারে জিয়াউল রহমানকে অঞ্চল কনভেনর করা হয়েছে। বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, ব্লক নেতৃত্ব যাকে কনভেনর করেছে, তিনি রাজনীতির কিছুই বোঝেন না। মইনুদ্দিন অঞ্চল কমিটির কনভেনর ছিলেন। তিনি ৩০ বছর ধরে দল করছেন। তাঁকে ইচ্ছেমতো পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে ব্লক কমিটি। তাই আমি মইনুদ্দিনকে কনভেনর নিযোগ করেছি। কমলাগাঁও সুজালির অঞ্চল সভাপতি আব্দুস সাত্তার বলেন, বিধায়কের এক্তিয়ার নেই কনভেনর নিয়োগ করার। তারপরেও কনভেনর নিয়োগ করে সুজালিতে গোষ্ঠী তৈরি করছেন।
উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই সুজালিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চলছে। প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি আব্দুল হক এক সময় সুজালিতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। গত নির্বাচনে আব্দুল হক তার স্ত্রী নুরি বেগমকে প্রধান করে। এর কিছু দিন পরেই সুজালিতে বিরাট রাজনৈতিক পরিবর্তন আসে। একাধিক মামলায় অভিযুক্ত থাকায় আব্দুল হক বর্তমানে পলাতক। তার স্থানে দল নতুন অঞ্চল সভাপতি করেছে আবদুস সাত্তারকে। ইসলামপুর ব্লক তৃণমূল নুরি বেগমকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু প্রধান হিসেবে এখনও তিনিই আছেন। এবার নুরি বেগমকে প্রধান পদ থেকে সরাতে মরিয়া তৃণমূল। নুরি এখন হামিদুল শিবিরে আছেন। নুরি ও আব্দুল বিরোধী শিবির ইসলামপুর লবি। নুরি বিধায়কের শিবিরে থাকায় বিধায়ক সুজালিতে সংগঠনের রাশ ধরতে কনভেনর নিয়োগ করেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।