• মৃতদের কার্ড বাতিল হবে, খোঁজ পড়েছে শতায়ু রেশন গ্রাহকদের
    বর্তমান | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শতায়ু রেশন গ্রাহকদের খোঁজ শুরু করল রাজ্য খাদ্যদপ্তর। বিষয়টি গতমাসে খাদ্যশ্রী ভবনের পর্যালোচনা বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ছিল। বিধিবদ্ধ এলাকার রেশনিং অফিসার ও মহকুমা খাদ্য নিয়ামকদের এই ব্যাপারে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। একশো বছর পেরনো গ্রাহকদের বর্তমান অবস্থা জানতে চায় দপ্তর। রিপোর্টটি চাওয়া হয়েছে দ্রুত। দপ্তর সূত্রের খবর, একশো বছর বয়সি গ্রাহকদের কতজন জীবিত আছেন সেই তথ্য জানতে চাইছে দপ্তর। তাঁরা জীবিত না-থাকলে তাঁদের রেশন কার্ড পুরোপুরি বাতিল করতে পারবে দপ্তর। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় এমন মৃতদের জায়গায় অন্যদের সুযোগ দেওয়া হবে।  


    কয়েকবছর ধরে যেসব রেশন গ্রাহকের অস্তিত্ব সম্পর্কে খাদ্যদপ্তরের সংশয় হচ্ছে, তাঁদের কার্ড ‘ব্লক’ করে রাখছে তারা। টানা রেশন না তোলা অথবা ডেথ রেজিস্টার থেকে ‘মৃত্যু’ সংক্রান্ত তথ্য পেয়েও ব্লক করা হচ্ছে কার্ডগুলি।  বন্ধ করা হচ্ছে ওই বাবদ খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দ। তবে ভুলবশত ব্লক কার্ড সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের আধারের বা঩য়োমেট্রিক যাচাই করার পর ফের চালু করা সম্ভব। তবে বেশিরভাগ ‘ব্লক’ গ্রাহক কার্ড চালু করতে আসছেন না। কিন্তু আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় কার্ডগুলি পুরোপুরি বাতিলও করা যাচ্ছে না এখনই। মৃত গ্রাহকের পরিবার তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটের কপিসহ নির্দিষ্ট ফর্ম জমা দেওয়ার পরই একটি রেশন কার্ড বাতিল হয়। এজন্য ডেথ সার্টিফিকেট পেতে মৃতের রেশন কার্ড জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেক মৃত গ্রাহকের কার্ড রয়ে গিয়েছে। তাই শতায়ু গ্রাহকদের বর্তমান অবস্থা জানতে উদ্যোগী হয়েছে দপ্তর।


    এই কাজটি দ্রুত সেরে ফেলতে রেশন ডিলারদের সাহায্য নিচ্ছে দপ্তর। কারণ তাঁদের কাছেই গ্রাহক সংক্রান্ত বিশদ তথ্য থাকে। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানান, গ্রাহকদের তথ্য ভাণ্ডার দপ্তরেও আছে। ডিলাররাও সাহায্য করবেন। প্রসঙ্গত, রেশন কার্ডেই গ্রাহকের জন্ম তারিখ লেখা থাকে। তবে সেটির আপডেট হয় না। তাই ডিলারদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে কাজটি দ্রুত করতে উদ্যোগী হয়েছে দপ্তর।
  • Link to this news (বর্তমান)