• দেগঙ্গায় দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল প্রাথমিক স্কুল, ক্ষোভ শিক্ষক থেকে এলাকাবাসীর
    বর্তমান | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: ভেঙে পড়ছে চাওড়। বৃষ্টি হলেই জল পড়ে ক্লাসঘরে। তবুও দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা ঘরে চলছে খুদেদের স্কুল। একাধিকবার পরিদর্শনও হয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের ভবন সংস্কার বা নতুন করে তৈরির কোনও অনুমোদন মেলেনি। নিরুপায় হয়ে পাশের অন্য একটি সরকারি ঘরে পড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন করছেন শিক্ষকরা। ঘটনাটি দেগঙ্গার চিংড়িয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।


    ১৯৭৪ সালে তৈরি হয় এই অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। যত সময় গড়িয়েছে, বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর ততই অবনতি হয়েছে। বাম আমলে ২০০৮ সালে বিদ্যালয়টি কংক্রিটের তৈরি হয়। কিন্তু এই কয়েক বছরের মধ্যেই বিদ্যালয়ের তিনটি কক্ষ একেবারেই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। ছাদ থেকে ভেঙে পড়ছে সিমেন্টের চাঙর। পাশাপাশি ঘরগুলির চারপাশের দেওয়ালে ধরেছে বড় বড় ফাটল। বৃষ্টির সময় ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে ক্লাসরুমে। ফলে শ্রেণিকক্ষের ভিতরে ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো খুব  চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে। বিদ্যালয়ের তরফে বারে বারে বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়। কিন্তু অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলঘর মেরামতির কোনও উদ্যোগই কেউ নেয়নি।


    প্রি প্রাইমারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত এই বিদ্যালয়ে পড়ুয়া প্রায় ৯০ জন। রয়েছেন দু’জন শিক্ষক ও একজন শিক্ষিকা। কিন্তু স্কুলটির এই বেহাল অবস্থার জন্য এলাকার খুদেদের অন্য স্কুলে ভর্তি করে দিচ্ছেন অভিভাবকরা। এই অবস্থায় বিদ্যালয়ের পাশেই থাকা শিক্ষাবন্ধুর অফিসের বারান্দাতেই ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে হয় পড়াশোনা। এক অভিভাবক নিরাপদ ঘোষ বলেন, বিদ্যালয়ের এই অবস্থার জন্য ছাত্রছাত্রী সংখ্যাও কমে গিয়েছে। পরিকাঠামো এত খারাপ যে আচমকা বিপত্তি ঘটে যেতে পারে। দ্রুত এনিয়ে শিক্ষাদপ্তরের নজর দেওয়া দরকার।


    এনিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিশির রায় বলেন, তিনটি শ্রেণিকক্ষের মধ্যে দুটি ঘরে কেবল চেয়ার-টেবিল থেকে। অন্য একটি ঘরে ঝুঁকি নিয়ে রান্না হয়। আর ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো হয় বাইরে। স্কুলের শ্রেণিকক্ষের এই অবস্থা নিয়ে আমরা একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েছি। তবে জেলা শিক্ষাদপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, দ্রুত এনিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)