নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: শতছিন্ন দশা দমদম রোডের জলের পাইপ লাইনের। বছরে অন্তত ২০ বার লিক হওয়া পাইপ লাইন সারাই করেও টেকানো যাচ্ছে না। সোমবার মতিঝিল থেকে ছাতাকল পর্যন্ত কয়েকশো মিটার রাস্তার অন্তত পাঁচ জায়গায় পাইপ লাইনে এমন লিক নজরে এসেছে। রাস্তার উপর জল জমছে। কোথাও রাস্তা ভেঙে খন্দ তৈরি হয়েছে। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, নতুন পাইপ লাইন বসানোর কাজ দ্রুত শুরু হবে। তাহলে কি ততদিন পোহাতে হবে দুর্ভোগ? প্রশ্ন পথচারীদের।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দমদম রোড দিয়ে ট্রান্স মিউনিসিপাল ওয়াটার প্রোজেক্টের পাইপ লাইন গিয়েছে। ২০১৩ সালে জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে এই পাইপ লাইন তৈরি হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর প্রায় নিয়ম করে প্রতিমাসে পাইপ লিক হচ্ছে। ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, দমদম রোড দিয়ে ইমারতি সামগ্রী বোঝাই প্রচুর ওভারলোড লরি যাতায়াত করে। পণ্যবাহী লরিও রয়েছে। অত্যধিক গাড়ির চাপ ও ঝাঁকুনির জেরে পাইপ ফাটছে বারবার। পাইপ লাইন দেখভালের দায়িত্বে থাকা কেএমডিএ’র আধিকারিকদেরও নাস্তানাবুদ অবস্থা। মজা করে পুরসভার জল বিভাগের কর্মীরা বলেন, ‘পাইপ লাইনের লিক সারাতে যত খরচ হয়েছে, তাতে নতুন পাইপ অনেক আগেই বসানো যেত।’
সোমবারও দেখা গিয়েছে, মতিঝিল গার্লস কলেজ, মতিঝিল ওল্ড কোয়ার্টার, প্রাইভেট রোড, ছাতাকল লাগোয়া আর্ট কলেজের গলির মুখ সহ পাঁচটি জায়গায় রাস্তার উপর জল জমে রয়েছে। তার উপর দিয়ে গাড়ি যাওয়ায় রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। প্রাইভেট রোড লাগোয়া রাস্তার হাল সবথেকে বেহাল। কিছু দিন আগে ওই জায়গায় লিক সারানো হয়েছিল। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, যখনই লিক সারানোর কাজ হয় তখন ১২-২৪ ঘণ্টা জল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তা সত্ত্বেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। রাস্তায় যাতায়াত করা পথচারীরা তীব্র বিপাকে পড়ছেন। গাড়ির চাকা থেকে ছিটকে আসা জলে অনেকেই ভিজছেন। ক্ষোভে ফোঁসা স্থানীয়রা বলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে এই সমস্যা চলছে। তাও স্থায়ী সমাধান বের করা গেল না।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার সিআইসি (ওয়াটার) মৃন্ময় দাস বলেন, ওই পাইপ লাইন অনেক পুরনো। রাস্তায় ভারি গাড়ি যাতায়াত করায় পাইপ লাইনে প্রায়ই লিক হচ্ছে। ফলে দ্রুত রাস্তা খারাপ হওয়ার পাশাপাশি নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কেএমডিএ নতুন পাইপ লাইন বসানোর ডিপিআর তৈরি করেছে। আম্রুত প্রকল্পে দ্রুত নতুন পাইপ লাইনের কাজ শুরু হবে।