নজরদারিতে হল কাজ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রসূতি মৃত্যু কমে অর্ধেক
বর্তমান | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কড়া নজরদারিতেই মিলল সাফল্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রায় অর্ধেকে নেমে এল প্রসূতি মৃত্যু। এখানে দুই স্বাস্থ্য জেলা মিলিয়ে গত বছর ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে সেটা ছিল একশোর বেশি। আশা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে প্রসূতিদের খোঁজ রাখা থেকে শুরু করে তাঁদের কোন হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে, অন্য কোথাও রেফার করতে হলে, কেন করা হচ্ছে– এসবের দিকে লক্ষ্য রাখতে বিশেষ নজরদারি দল গঠন করা হয়েছিল। তাদের সক্রিয় ভূমিকায় একজন প্রসূতিও বাদ যাননি। প্রত্যেকের নিয়মিত খোঁজখবর করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে পরামর্শ। ফলে সঠিক সময় উপযুক্ত চিকিৎসা পেয়েছেন হবু মায়েরা। সেই জন্যই মৃত্যু অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে বলে দাবি স্বাস্থ্যবিভাগের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য আধিকারিক মুক্তিসাধন মাইতি বলেন, গত বছর এই বিষয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন ব্লকে আমাদের বিশেষ দল কাজ করেছে। সেই জন্য প্রসূতি মৃত্যু কমাতে আমরা সফল হয়েছি। তবে আগামী দিনেও এভাবে কাজ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এটা না বেড়ে যায়। একটা সময় এই জেলায় প্রসূতি মৃত্যুর হার যথেষ্টই উদ্বেগে রেখেছিল স্বাস্থ্য বিভাগকে। ‘টিনেজ প্রেগন্যান্সি’ ছিল এর মূল কারণ। সেটা অনেকটাই আটকানো গিয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। তবে দুই স্বাস্থ্যজেলায় দু’রকম চিত্র পাওয়া গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্যজেলায় গত তিন বছরে প্রসূতি মৃত্যুর গ্রাফ ক্রমশ নিম্নগামী হয়েছে। অন্যদিকে, ডায়মন্ডহারবার স্বাস্থ্যজেলাতে এই সংখ্যা কমলেও, সেটা উল্লেখযোগ্য হারে হয়নি। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গোটা জেলায় এই মৃত্যুর হার আরও কীভাবে কমানো যাতে যায়, সেই পরিকল্পনা করছেন চিকিৎসকরা।