রণজয় সিংহ: একটুর জন্য প্রাণে বেঁচেছেন মালদার মানিকচক বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। গত ১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা নাগাত তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই ঘটনায় যুক্ত গাড়িকে আটক করল পুলিস। বৈষ্ণবনগরের গাড়ির মালিক এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মানিকচক থানার পুলিস,বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ওই ব্যক্তির মোবাইল। পুরো ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস, জানালেন বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। তিনি আগেই অভিযোগ করেছিলেন তাঁর দলেরই একাংশ চাইছে তাঁকে সরিয়ে দিতে এবং এই কারণেই মূলত কিছু সন্দেহজনক ব্যাক্তি তাঁকে অনুকরণ করছে ও তাঁকে প্রাণে মারার হুমকিও দিচ্ছে তারা। তাঁর এই অভিযোগকে ঘিরেই ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
গত শনিবার রাতে মানিকচক থেকে মালদহ শহরের দিকে যাওয়ার পথে তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রকে প্রাণে মেরে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। গাড়ি দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল তাঁকে। গোটা বিষয়ে মানিকচক থানার পুলিসের কাছে ৪৭০৬ নম্বর দিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই নম্বরের রাজ্যজুড়ে যে সকল গাড়ি রয়েছে সেগুলিকে খতিয়ে দেখে পুলিস। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তারা। মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার ১৮ মাইল এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সানিজ আক্তারের নাম উঠে আসে তদন্তে। এই ঘটনার কারণে গাড়ির মালিককে মানিকচক থানায় ডেকে পাঠায় পুলিস কর্তারা এবং তারপরই শুরু হয় দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। ওই ব্যক্তির গাড়িটিকে হেফাজতে নেওয়ার পাশাপাশি তার মোবাইল ফোনটিও হেফাজতে নিয়েছে তারা।
গাড়ির মালিক মোঃ সানিজ আক্তার বলেন, তিনি ব্যবসায়িক সূত্রে প্রতিনিয়ত মানিকচকে আসেন। শনিবারও মানিকচকে আসার পর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। রাস্তায় কোনো রকম কিছুই ঘটনা ঘটেনি। স্বাভাবিক মত যেভাবে অন্যান্য গাড়িকে পাশ কাটিয়ে যেতে হয় ঠিক সেভাবেই গিয়েছিলেন তিনি, তিনি আরও জানান কোনো দুর্ঘটনা ঘটানোর চেষ্টাই করেনি তিনি। পুলিসি তদন্তে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করবেন বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে এই গোটা ঘটনায় তাঁর গাড়ি, মোবাইল ফোন পুলিসি হেফাজতে নেওয়ার কারণে তিনি মানসিক চাপে রয়েছেন বলে জানাচ্ছেন। তিনি কোনরকম ভাবে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন বলে দাবি করছেন।